আমি একদিন বৃষ্টি নামিয়েছিলাম
আমরা একদিন বৃষ্টি নামিয়েছিলাম
অথবা একদিন বৃষ্টি নেমেছিলো চন্দ্রিমায়...
শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০০৭
ছবি ব্লগ।। নোয়াখালী সরকারি কলেজ
দু'জোড়া ঠোঁট
এক জোড়া ঠোঁট নিষ্ক্রিয় !
দু'জোড়া ঠোঁট সক্রিয় !!
যতক্ষণ সক্রিয় ততক্ষণই বেঁচে থাকা !!!
দু'জোড়া ঠোঁট আলাদা হলেই মরণ !!!!
দু'জোড়া ঠোঁট সক্রিয় !!
যতক্ষণ সক্রিয় ততক্ষণই বেঁচে থাকা !!!
দু'জোড়া ঠোঁট আলাদা হলেই মরণ !!!!
মাতাল
কিছুই করিনি পান;
না শারাব, না মাদক।
অথচ দ্যাখো, আমি ঠিক মাতাল হয়েছি।
বিপর্যস্ত দুচোখ নেশায় ঢুলু ঢুলু,
দ্রুত থেকে দ্রুততর হয় হৃদস্পন্দন,
উত্তপ্ত কপালে নোনতা স্বেদ।
কে জানতো, শারাবকেও হার মানাবে
নারীর শরীরী ঘ্রাণ
না শারাব, না মাদক।
অথচ দ্যাখো, আমি ঠিক মাতাল হয়েছি।
বিপর্যস্ত দুচোখ নেশায় ঢুলু ঢুলু,
দ্রুত থেকে দ্রুততর হয় হৃদস্পন্দন,
উত্তপ্ত কপালে নোনতা স্বেদ।
কে জানতো, শারাবকেও হার মানাবে
নারীর শরীরী ঘ্রাণ
কবিতার জন্মকাহিনী
কালো যে কয়লা,
সেও মৃত্তিকার চাপে
ভূগর্ভের উষ্ণতায় জ্বলে
রুপান্তরিত হয় অমূল্য হীরকে।
তোমার দেয়া দূঃখগুলোও তেমনি
হৃদয়ের চাপে,
ভালোবাসার উষ্ণতায় পুড়ে
হীরকের পূর্ণতা পায়,
উঠে আসে কবিতার খাতায়-
জ্বলজ্বলে অক্ষরের নান্দনিক বিন্যাসে।
সেও মৃত্তিকার চাপে
ভূগর্ভের উষ্ণতায় জ্বলে
রুপান্তরিত হয় অমূল্য হীরকে।
তোমার দেয়া দূঃখগুলোও তেমনি
হৃদয়ের চাপে,
ভালোবাসার উষ্ণতায় পুড়ে
হীরকের পূর্ণতা পায়,
উঠে আসে কবিতার খাতায়-
জ্বলজ্বলে অক্ষরের নান্দনিক বিন্যাসে।
প্রতীক্ষা
ভাবনার এলোমেলো প্রান্তরে পদশব্দহীন
সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এবং রাত্রি।
তবুও কাটেনা প্রতীক্ষার প্রহর।
দিন যায় দিন আসে,
রাত যায় রাত আসে,
পৃথিবীর বয়স বাড়ে,
গতিপথ পাল্টে যায় কত নদীর।
ধ্যান ভাঙ্গাবার যজ্ঞে বলি হয়
শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য;
তবুও ভাঙ্গেনা ধ্যান সেই ঋষির।
একা এলোমেলো আমি
পদশব্দহীন প্রান্তরে।
সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এবং রাত্রি।
তবুও কাটেনা প্রতীক্ষার প্রহর।
দিন যায় দিন আসে,
রাত যায় রাত আসে,
পৃথিবীর বয়স বাড়ে,
গতিপথ পাল্টে যায় কত নদীর।
ধ্যান ভাঙ্গাবার যজ্ঞে বলি হয়
শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য;
তবুও ভাঙ্গেনা ধ্যান সেই ঋষির।
একা এলোমেলো আমি
পদশব্দহীন প্রান্তরে।
তবুও
আমি থাকবোনা জানি একদিন এই স্থূল দেহে;
তখন সূক্ষ্ণ জ্যোতির্ময় অবয়বে
ঘুরবো কিনা এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে
তা আমার জানা নেই।
অথবা বিলীন হয়ে যাবো কিনা অনন্ত চেতনায়
তাও আমার জানা নেই।
তবে এইটুকু জানি,
আমার এই সব কবিতারা থাকবে।
হয়তো ধূলো জমবে কয়েক প্রস্থ পান্ডুলিপির ’পরে,
বহুদিনের স্যাঁতসেঁতে স্মৃতির মত পড়ে থাকবে নিঝুম ভাঁড়ার ঘরে।
অথবা কোন এক নারীর গোপন চিলেকোঠায়,
নিষিদ্ধ শব্দাবলীর মত
কিম্বা সযত্ন অবহেলায়।
তখন সূক্ষ্ণ জ্যোতির্ময় অবয়বে
ঘুরবো কিনা এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে
তা আমার জানা নেই।
অথবা বিলীন হয়ে যাবো কিনা অনন্ত চেতনায়
তাও আমার জানা নেই।
তবে এইটুকু জানি,
আমার এই সব কবিতারা থাকবে।
হয়তো ধূলো জমবে কয়েক প্রস্থ পান্ডুলিপির ’পরে,
বহুদিনের স্যাঁতসেঁতে স্মৃতির মত পড়ে থাকবে নিঝুম ভাঁড়ার ঘরে।
অথবা কোন এক নারীর গোপন চিলেকোঠায়,
নিষিদ্ধ শব্দাবলীর মত
কিম্বা সযত্ন অবহেলায়।
রাত্রির কাছে
রাত্রির কাছে গচ্ছিত রেখেছি সকল স্বপ্ন,
রৌদ্রালোকে ঘুরি স্বপ্নহীন।
এই জনারণ্যে বিবস্ত্র জীবনের বিবর্ণ ইচ্ছেগুলো
বড় বেশি আক্রমণাত্মক,
শার্দূল চোখে ক্ষমাহীন আক্রোশ নিয়ে তাকায়,
এগিয়ে আসে যেন পৌরাণিক দানব এক,
ঘাড়ে চেপে বসে সিন্দবাদের ভূতের মত
যুগের পর যুগ;
দূর্বিষহ বাস্তব শুধু
দূঃখেরই কোরাস গায়;
যান্ত্রিক চাওয়া পাওয়াতে স্বপ্নরা নির্বাসনে খোঁজে সুখ।
তাই রাত্রির কাছে গচ্ছিত রেখেছি সকল স্বপ্ন,
রৌদ্রালোকে ঘুরি স্বপ্নহীন।
রৌদ্রালোকে ঘুরি স্বপ্নহীন।
এই জনারণ্যে বিবস্ত্র জীবনের বিবর্ণ ইচ্ছেগুলো
বড় বেশি আক্রমণাত্মক,
শার্দূল চোখে ক্ষমাহীন আক্রোশ নিয়ে তাকায়,
এগিয়ে আসে যেন পৌরাণিক দানব এক,
ঘাড়ে চেপে বসে সিন্দবাদের ভূতের মত
যুগের পর যুগ;
দূর্বিষহ বাস্তব শুধু
দূঃখেরই কোরাস গায়;
যান্ত্রিক চাওয়া পাওয়াতে স্বপ্নরা নির্বাসনে খোঁজে সুখ।
তাই রাত্রির কাছে গচ্ছিত রেখেছি সকল স্বপ্ন,
রৌদ্রালোকে ঘুরি স্বপ্নহীন।
তুমি কোথায়
একদিন আমাদের পদচারণায়
মুখর ছিলো এই পার্ক,
সবুজ গানে আন্দোলিত পার্ক।
এক সময় পাতা মরে, পাতা ঝরে,
সবুজ পার্ক ধূসর হয়;
আবারও সবুজ হয়
অন্য কোন যুগলের পদচারণায়।
সিমেন্টে বাঁধানো বেঞ্চ নিরব প্রশ্নচিহ্ন হয়,
তুমি কোথায়?
মুখর ছিলো এই পার্ক,
সবুজ গানে আন্দোলিত পার্ক।
এক সময় পাতা মরে, পাতা ঝরে,
সবুজ পার্ক ধূসর হয়;
আবারও সবুজ হয়
অন্য কোন যুগলের পদচারণায়।
সিমেন্টে বাঁধানো বেঞ্চ নিরব প্রশ্নচিহ্ন হয়,
তুমি কোথায়?
আমার লাশ তোমাকে দিলাম
যদি আমার বুকের রক্তে তোমার
মরুর ক্যাকটাস রুপান্তরিত হয় সবুজ শস্যে,
তবে এই নাও, আমার একবুক রক্ত তোমাকে দিলাম।
যদি আমার দৃষ্টি তোমার নিস্পৃহ চোখে
আনতে পারে অরণ্যের সজীবতা,
ফোটাতে পারে ভালোবাসার অমরা,
তবে এই নাও আমার দুচোখ তোমাকে দিলাম।
যদি আমার হাত তোমার অতলস্পর্শী
খনি খুঁড়ে তুলে আনতে পারে
হারিয়ে যাওয়া রত্ন,
তবে এই নাও, আমার দুহাত তোমাকে দিলাম।
যদি আমার শরীর পঁচা হিউমাসে
উর্বর হয় তোমার শস্যক্ষেত,
তবে এই নাও, আমার লাশ তোমাকে দিলাম।
মরুর ক্যাকটাস রুপান্তরিত হয় সবুজ শস্যে,
তবে এই নাও, আমার একবুক রক্ত তোমাকে দিলাম।
যদি আমার দৃষ্টি তোমার নিস্পৃহ চোখে
আনতে পারে অরণ্যের সজীবতা,
ফোটাতে পারে ভালোবাসার অমরা,
তবে এই নাও আমার দুচোখ তোমাকে দিলাম।
যদি আমার হাত তোমার অতলস্পর্শী
খনি খুঁড়ে তুলে আনতে পারে
হারিয়ে যাওয়া রত্ন,
তবে এই নাও, আমার দুহাত তোমাকে দিলাম।
যদি আমার শরীর পঁচা হিউমাসে
উর্বর হয় তোমার শস্যক্ষেত,
তবে এই নাও, আমার লাশ তোমাকে দিলাম।
ভালোবাসি
আবারও চোখে বিষাদের ময়লা জমেছে
রক্তে কষ্টের বুদবুদ
আবারও গায়ে লাশের গন্ধ জমেছে
বুকের গভীরে অবিরাম শোক।
এত বিপর্যয়ের পরেও কিভাবে যে
হাঁটতে পারি, গাইতে পারি
মেঘের বুকে স্বপ্নদৃশ্য আঁকতে পারি,
নিজেই জানিনা।
তবুও বলি...
দেবীর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য হাতে নতজানু পূজারীর মত বলি,
বার বার বলি,
শোন, ‘ভালোবাসি’।
রক্তে কষ্টের বুদবুদ
আবারও গায়ে লাশের গন্ধ জমেছে
বুকের গভীরে অবিরাম শোক।
এত বিপর্যয়ের পরেও কিভাবে যে
হাঁটতে পারি, গাইতে পারি
মেঘের বুকে স্বপ্নদৃশ্য আঁকতে পারি,
নিজেই জানিনা।
তবুও বলি...
দেবীর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য হাতে নতজানু পূজারীর মত বলি,
বার বার বলি,
শোন, ‘ভালোবাসি’।
অচেনা তুমি
আজকাল তোমাকে দেখি
কি এক ধ্যানে মগ্ন সারাক্ষণ- নিশ্চুপ,
প্রগলভতা হারিয়ে গ্যাছে
মৌনতার আড়ালে।
সেই স্বপ্নীল দৃষ্টিও আর নেই।
বোধের ওপারের অলৌকিক আলো
খেলা করে দুচোখে তোমার।
আমি বিস্মিত বারে বার,
তোমার গানে খুঁজে পাই যেন
অদ্ভূত এক সুর।
কি এক ধ্যানে মগ্ন সারাক্ষণ- নিশ্চুপ,
প্রগলভতা হারিয়ে গ্যাছে
মৌনতার আড়ালে।
সেই স্বপ্নীল দৃষ্টিও আর নেই।
বোধের ওপারের অলৌকিক আলো
খেলা করে দুচোখে তোমার।
আমি বিস্মিত বারে বার,
তোমার গানে খুঁজে পাই যেন
অদ্ভূত এক সুর।
শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০০৭
রাত্রির নরকে
রাত্রি বাদুড়ের ডানার মত
ছায়া ফেলে শহরে।
পরিচিত পৃথিবী অচেনা
আধখানা চাঁদের বিষন্ন আলোয়।
শয্যা যেন জ্বলন্ত অঙ্গার।
তৃষ্ণার্ত ঠোঁট পায়না জলের স্পর্শ,
শুধু বিছানায় এপাশ ওপাশ...
আমি একা জেগে থাকি
রাত্রির নরকে...
ছায়া ফেলে শহরে।
পরিচিত পৃথিবী অচেনা
আধখানা চাঁদের বিষন্ন আলোয়।
শয্যা যেন জ্বলন্ত অঙ্গার।
তৃষ্ণার্ত ঠোঁট পায়না জলের স্পর্শ,
শুধু বিছানায় এপাশ ওপাশ...
আমি একা জেগে থাকি
রাত্রির নরকে...
মায়ের কাছে
কত শত কষ্টের প্রহর ঠেলে
ঘুরে ঘুরে ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত সত্ত্বার গভীরে।
শত অভিমান শত কান্না,
ব্যর্থতার সুরভীতে মাতাল বেহুঁশ।
হাজার মাইল পথ হেঁটে
নিয়নের উজ্জ্বলতা যখন হারায় অন্ধকারের গর্ভে,
ফিরে আসি নিশ্চিত আশ্রয়ে
ফিরে আসি মায়ের কাছে।
ঘুরে ঘুরে ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত সত্ত্বার গভীরে।
শত অভিমান শত কান্না,
ব্যর্থতার সুরভীতে মাতাল বেহুঁশ।
হাজার মাইল পথ হেঁটে
নিয়নের উজ্জ্বলতা যখন হারায় অন্ধকারের গর্ভে,
ফিরে আসি নিশ্চিত আশ্রয়ে
ফিরে আসি মায়ের কাছে।
আমার কষ্টগুলোর বর্তমান দিনকাল
আমার কষ্টগুলোর
ইদানীং সুদিন চলছে।
আমার মাঝে উর্বর সার পেয়ে তারা দিন দিন
তরতাজা হয়ে উঠছে।
ক্রমান্বয়ে হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে
শিকড় গেঁড়ে চলছে।
ইদানীং সুদিন চলছে।
আমার মাঝে উর্বর সার পেয়ে তারা দিন দিন
তরতাজা হয়ে উঠছে।
ক্রমান্বয়ে হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে
শিকড় গেঁড়ে চলছে।
হাত বাড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে বন্ধু খুঁজি
হাত বাড়িয়ে সুখ
হাত বাড়ালেই শূন্য সব
হাত বাড়ালেই দূখ।
হাত বাড়িয়ে হাত খুঁজি তার
হাত বাড়িয়ে চোখ
হাত বাড়ালেই হাতের কাছে
পাইনা আপন মুখ।
হাত বাড়িয়ে সুখ
হাত বাড়ালেই শূন্য সব
হাত বাড়ালেই দূখ।
হাত বাড়িয়ে হাত খুঁজি তার
হাত বাড়িয়ে চোখ
হাত বাড়ালেই হাতের কাছে
পাইনা আপন মুখ।
বৃত্তের কেন্দ্রে তুমি
বৃত্তের কেন্দ্রে তুমি,
মাঝে অদৃশ্য সুতোর টানে
কেন্দ্রমূখী বল;
পাশাপাশি সমান ক্রিয়াশীল কেন্দ্রবিমূখী বল।
ফলাফল-
পরিধি বরাবর ঘূর্ণায়মান আমি,
কেন্দ্রে তুমি।
মাঝে অদৃশ্য সুতোর টানে
কেন্দ্রমূখী বল;
পাশাপাশি সমান ক্রিয়াশীল কেন্দ্রবিমূখী বল।
ফলাফল-
পরিধি বরাবর ঘূর্ণায়মান আমি,
কেন্দ্রে তুমি।
প্রাত্যহিক
প্রাত্যহিক
...............................
শুরুটা চমৎকার,
উচ্ছ্বসিত
উচ্চকিত
ইতিবাচক।
শেষ বিষন্নতায়,
নিস্তেজ
নিঃশব্দ
নেতিবাচক।
...............................
শুরুটা চমৎকার,
উচ্ছ্বসিত
উচ্চকিত
ইতিবাচক।
শেষ বিষন্নতায়,
নিস্তেজ
নিঃশব্দ
নেতিবাচক।
তবে কি তুমি আসছো
দখিনা হাওয়া এসে উড়িয়ে নেয় জমে
থাকা ঘরের ধূলো; এক পশলা চকিত
বৃষ্টি ধুয়ে দেয় মায়াবী উঠোন; জানালার
ফাঁকে রোদ্র হানা দেয়, চলে যায় গুমোট
আঁধার; বহুদিনের নির্জীব হাস্নাহেনার ডাল
চিরে উঁকি দেয় কচি ডগা, বিকেল না গড়াতেই
উথাল পাথাল ঘ্রাণ; গতকাল চাঁদ ছিলো কি
আকাশে, জানা নেই; আজ আঁধার না ঘনাতেই
কি অবাক জোৎস্না! তবে কি তুমি আসছো!
তবে কি তুমি আজ আসছো আমার ঘরে!
থাকা ঘরের ধূলো; এক পশলা চকিত
বৃষ্টি ধুয়ে দেয় মায়াবী উঠোন; জানালার
ফাঁকে রোদ্র হানা দেয়, চলে যায় গুমোট
আঁধার; বহুদিনের নির্জীব হাস্নাহেনার ডাল
চিরে উঁকি দেয় কচি ডগা, বিকেল না গড়াতেই
উথাল পাথাল ঘ্রাণ; গতকাল চাঁদ ছিলো কি
আকাশে, জানা নেই; আজ আঁধার না ঘনাতেই
কি অবাক জোৎস্না! তবে কি তুমি আসছো!
তবে কি তুমি আজ আসছো আমার ঘরে!
একদিন নিশ্চয়
প্রতিদিন প্রতীক্ষায় অষ্টপ্রহর;
চিরহরিৎ নিমগ্নতায় গভীর ধ্যানে ভবিষ্যতের চিত্রকল্প-
একদিন আসবে ফিরে নিশ্চয় ।
নিশ্চয় অনাগত কালের গর্ভে আমাদের সম্ভাবনা প্রস্ফুটিত, জানি।
একদিন কোন বৃক্ষের বর্ষার সুখের মত
আন্দোলিত পল্লবে পল্লবে আমাদের কথামালা
পরাবাস্তব গল্প সাজাবে।
আমাদের কাঁদাবে, হাসাবে, ভালোবাসার ধ্বনি তুলবে।
চকিত খুনসুটির তীক্ষ্ণ সুখে তৃপ্তির নিঃশ্বাস নেবে।
একদিন শীত সকালের ঘুম আলস্য ঝেড়ে ফেলে বলবেই-
চল হাত ধরি, অনেক হয়েছে কথপোকথন;
এবার চোখের ভাষার অনুবাদ হোক।
এসো, সংসার সাজাই।
চিরহরিৎ নিমগ্নতায় গভীর ধ্যানে ভবিষ্যতের চিত্রকল্প-
একদিন আসবে ফিরে নিশ্চয় ।
নিশ্চয় অনাগত কালের গর্ভে আমাদের সম্ভাবনা প্রস্ফুটিত, জানি।
একদিন কোন বৃক্ষের বর্ষার সুখের মত
আন্দোলিত পল্লবে পল্লবে আমাদের কথামালা
পরাবাস্তব গল্প সাজাবে।
আমাদের কাঁদাবে, হাসাবে, ভালোবাসার ধ্বনি তুলবে।
চকিত খুনসুটির তীক্ষ্ণ সুখে তৃপ্তির নিঃশ্বাস নেবে।
একদিন শীত সকালের ঘুম আলস্য ঝেড়ে ফেলে বলবেই-
চল হাত ধরি, অনেক হয়েছে কথপোকথন;
এবার চোখের ভাষার অনুবাদ হোক।
এসো, সংসার সাজাই।
তৃষ্ণা মেটেনা
এক সময় কত প্রমত্ত ছিলো নদীটি।
সারাটা দুপুর কেটে যেতো
নদীর জলে সাঁতার কেটে।
খুব পিপাসার্ত হলে নদীর জলেই তৃষ্ণা মেটাতাম।
এখন নাব্যতা হারিয়েছে নদী,
বর্ষার আহ্বানেও আর দু’কূল আলিঙ্গণ করতে ছুটে আসেনা।
শুধু মাঝে মাঝে তার বুকে
অশ্রু’র ফোঁটার মত কিছু জল বয়ে যায়
আমার তৃষ্ণা মেটেনা,
তৃষ্ণা মেটেনা।
সারাটা দুপুর কেটে যেতো
নদীর জলে সাঁতার কেটে।
খুব পিপাসার্ত হলে নদীর জলেই তৃষ্ণা মেটাতাম।
এখন নাব্যতা হারিয়েছে নদী,
বর্ষার আহ্বানেও আর দু’কূল আলিঙ্গণ করতে ছুটে আসেনা।
শুধু মাঝে মাঝে তার বুকে
অশ্রু’র ফোঁটার মত কিছু জল বয়ে যায়
আমার তৃষ্ণা মেটেনা,
তৃষ্ণা মেটেনা।
আততায়ী
নিজেই নিজের পোস্টমর্টেম করে দেখেছি,
শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই;
বুক চিরে হৃদপিন্ড স্পর্শ করেনি কোন তীক্ষ্ণ ছুরি,
শরীর পোড়েনি আগুনে,
বুক পিঠ ফুটো করে চলে যায়নি কোন বুলেট,
দেহের কোন হাড় ভেঙ্গে যায়নি
কিম্বা পাকস্থলীতে নেই প্রাণঘাতী হেমলক।
তাহলে কেন আমি আজ আহত!
কি এক আশ্চর্য অস্ত্রের আঘাতে
আমার হৃদয় ফুটো হয়ে গ্যাছে।
আততায়ী, এ কেমন অস্ত্র তোমার!
শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই;
বুক চিরে হৃদপিন্ড স্পর্শ করেনি কোন তীক্ষ্ণ ছুরি,
শরীর পোড়েনি আগুনে,
বুক পিঠ ফুটো করে চলে যায়নি কোন বুলেট,
দেহের কোন হাড় ভেঙ্গে যায়নি
কিম্বা পাকস্থলীতে নেই প্রাণঘাতী হেমলক।
তাহলে কেন আমি আজ আহত!
কি এক আশ্চর্য অস্ত্রের আঘাতে
আমার হৃদয় ফুটো হয়ে গ্যাছে।
আততায়ী, এ কেমন অস্ত্র তোমার!
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)