tag:blogger.com,1999:blog-84726371788752225002024-02-22T22:07:52.247+06:00প্রান্তজনের কথাadminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.comBlogger140125tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-56641855744721163782011-03-08T11:59:00.000+06:002011-03-08T11:59:26.232+06:00দিন শেষেঅন্য শহরে যাই, অন্য পৃথিবীর<br />
তৃণ লতা ঘাস আপন হয়ে আসে,<br />
বেজে ওঠে নতুন বিউগল।<br />
<br />
সরাইখানার শার্সিতে অন্যরকম রঙের রোদ<br />
আছড়ে পড়ে, অন্যরকম তাপ জাগায় ত্বকে,<br />
মুখে, বুকের ভাঁজে।<br />
<br />
তবু<br />
দিন শেষে পরিচিত শহরে ফিরে আসি<br />
প্রতিদিন<br />
পরিচিত নারীর কাছে যেমন ফিরে আসে<br />
অবিশ্বাসী পুরুষ<br />
চেনা বাঁকে চেনা ঘাটে অভ্যস্ত ত্রস্ত হাতে তরী ভেড়াবে বলে।<br />
<br />
<i><br />
</i><br />
<i>৮ মার্চ, ২০১১</i><br />
<i>মাইজদী</i>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-84240474024819372732011-02-08T10:06:00.002+06:002011-02-08T10:06:25.936+06:00স্বপ্নগত পরশু রাতের ঘট্না। আম্মা স্বপ্নে দেখলেন, আমার পিতা আসছেন দেখা করতে। উনি হজ্জ্বে যাবেন। আমাকেও সাথে নিতে চান। হজ্জ্ব করতে যাওয়া মুসলমানের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। স্বপ্নে আম্মার খুশি হওয়ারই কথা। কিন্তু আম্মা খুশি হন না।<br />
স্বপ্নে যদিও জীবিত মানুষ হিসেবেই আসেন আব্বা। কিন্তু আম্মার অবচেতন মনে কু-ডাক ডেকে উঠে। মৃত মানুষ তাঁর সন্তানকে সাথে নিতে চাওয়া হয়তো কোন বিশেষ ইঙ্গিত বহন করে! তাঁর মন বাধা দেয়। "না, আমার ছোট ছেলেকে আপনার সাথে যেতে দিবো না। আপনি একাই যান।", আম্মা স্বপ্নে আব্বার উদ্দেশ্যে বলে উঠেন। আব্বা চলে যান।adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-41622035752634687032010-10-19T12:50:00.003+06:002010-12-06T21:37:50.683+06:00দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচী শুরু হচ্ছে :)<img alt="memorandum" src="http://www.amrabondhu.com/sites/default/files/school%20lunch.jpg" /><br />
কিছুক্ষণ আগে দৈনিক যায় যায় দিনে একটা খবর দেখে মনটা ব্যাপক খুশিতে ভরে উঠলো। সরকার দেশের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার ৮৬টি উপজেলায় ১হাজার ১৪২কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেলে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।<br />
ভালো লাগার একটা বড় কারণ হলো ব্যক্তিগতভাবে আমার সংস্থা এবং আমারও এতে অবদান আছে। আমরাই প্রথম এই দাবিটি তুলি এবং দাবি পূরণে পরিকল্পিত অ্যাডভোকেসি চালিয়ে যাই কয়েক বছর ধরে। <br />
<a name='more'></a>২০০৩ সালে কমনওয়েল্থ এডুকেশন ফান্ড (সিইএফ) এর সহযোগিতায় একশনএইড ও দেশের ৬টি অঞ্চলে স্থানীয় ৬টি সংগঠন (এনআরডিএস, ওয়েভ ফাইন্ডেশন, উত্তরণ, জাবারাং, এফআইভিডিপি, কোস্ট) আমরা একটি গবেষণা ও অ্যাডভোকেসী কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি<br />
করা মান উন্নয়নে। ৬টি সংস্থা আলাদা আলাদাভাবে গবেষণা পরিচালনা করি। আমরা মূলত ভৌগলিকভাবে পিছিয়া পড়া অঞ্চলগুলোই বেছে নিই। নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা কারণ হিসেবে আসে ক্ষুধা ও দারিদ্র। শিশুরা এমনও বলে যে, "হেডে বোক লাইগলে আঁর স্কুল বালা লাগে না"। আসলেই তাই। দুপুরের পর পরই প্রাথমিক বিদ্যায়লগুলো প্রায় ফাঁকা হতে থাকে। কারণ অধিকাংশ শিশুই তেমন কিছু না খেয়েই স্কুলে আসতো। আমাদের গবেষণাটি আমরা "নোয়াখালীর প্রাথমিক শিক্ষা: স্বপ্ন ও বাস্তবতা" প্রকাশ করি। এবং প্রধান প্রধান অ্যাডভোকেসি ইস্যু হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার দেয়ার ইস্যুটি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম চালাই। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনমতও তৈরি হয়। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ইস্যুটি তুলতে আমরা সক্ষম হই।<br />
ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান এবং তাঁর সংগঠন পিপিআরসি আমাদের নেটওয়ার্কে সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিলেন। এবং দুপুরের খাবার বিষয়টি সহ অন্যান্য ইস্যুতেও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকায় ছিলেন। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) প্রণয়নে ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান অন্যত ম একজন সদস্য ছিলেন। তাঁকে আমরা এর গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হই। এবং পিআরএসপিতে বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার দেবার প্রস্তাব করা হয়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ছিলো দুপুরের খাবারের দাবি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি ইস্যুতে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দলিলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় আমাদের অ্যাডভোকেসির প্রচারে দারুণ কাজে দেয়। পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকার সময়ে উপদেষ্টা হন ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান। এই ইস্যুটিও তাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়।<br />
<img alt="liflet" src="http://www.amrabondhu.com/sites/default/files/2nd_and_3rd_page%20-%20Copy.JPG" /><br />
যেহেতু এর সাথে অনেক খরচের বিষয় জড়িত, তাই সরকার বাস্তবায়নে অনেক গড়িমসি করছিলো বলা যায়। আজকের একনেকে বৈঠকে পাস হলে এটা একটা যুগান্তকারী ঘটনা হবে নি:সন্দেহে। দেশের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় কর্মসূচীটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার মান বাড়ার পাশাপাশি শিশুদের পুষ্টির চাহিদাও কিছুটা পুরণ হবে। কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট দূর্ণীতিমুক্ত থেকে শিশুদের জন্য কাজ করবেন এই দাবি রাখছি।adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-88825068151520091762010-10-03T11:56:00.003+06:002010-10-03T12:01:21.373+06:00ব্লগস্পটে ব্লগ পরিসংখ্যান দেখার সুবিধা যুক্ত হলো<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9yzBc-Oippx7C699XYgJDIwrZFzvl48LV46f6UBDqk3s-6X-eiVauPUQlkmhbTLuN1QhBhx_kfO9-L_W5lmU9MOT79t-nmBSNgmIDReXHoZj6fhfqt_wHPaznuoSiazLfUPoYYWG8KFU/s1600/Untitled.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="196" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9yzBc-Oippx7C699XYgJDIwrZFzvl48LV46f6UBDqk3s-6X-eiVauPUQlkmhbTLuN1QhBhx_kfO9-L_W5lmU9MOT79t-nmBSNgmIDReXHoZj6fhfqt_wHPaznuoSiazLfUPoYYWG8KFU/s320/Untitled.png" width="320" /></a></div>ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসের পাশাপাশি ব্লগার/ব্লগস্পট আমার অনেক পছন্দ। আামার ব্যক্তিগত ব্লগটিও ব্লগারেই হোস্ট করা। কিন্তু অনেকদিন নিজের ব্লগস্পট ব্লগে ঢুঁ দেয়া হয়নি। নতুন পোস্ট লিখিনি অনেকদিন। কারো কমেন্টও নেই, নোটিফিকেশনও নেই। তাই এদিকে আর আসা হয়নি। আজ হঠাৎ ঢুকে দেখি কন্ট্রোল প্যানেলে <b>Stats</b> বার দেখা যাচ্ছে। এই অপশনটার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। ব্লগস্পটে এই সুবিধা না থাকায় তৃতীয় পক্ষের কোন পরিসংখ্যান ওয়েব সাইটের সাহায্য নিতে হতো। যার মাধ্যমে ট্র্যাফিক, পেজভিউ, সার্চ হিস্টোরি ইত্যাদি দেখা যেতো।<br />
<br />
বিস্তারিত পরিসংখ্যান দেখানোর পাশাপাশি ব্লগপেজের জন্য মোট পেজভিউ উইজেট ও যুক্ত হয়েছে। এখন থেকে ড্যাশবোর্ড থেকেই ব্লগ সম্পর্কিত অনেক পরিসংখ্যান দেখা যাবে। নি:সন্দেহে দারুণ সংযোজন! :)adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-64376075691677161592010-06-05T16:10:00.001+06:002010-06-06T20:13:04.742+06:00আজ শোকআজ শোক!<br />
পত্রিকায় শোক, টিভিতে শোক<br />
রাস্তায় শোক, পাড়ায় শোক<br />
গলিতে শোক, রাজপথে শোক<br />
অর্ধনমিত জাতীয় পতাকায় শোক।<br />
<br />
দিন শেষে শোকের রুটিন শেষ হলে পর,<br />
আমাদের শোক আপাতত স্থগিত করা হবে পরবর্তী কোন দূর্ঘটনার জন্য।<br />
'আল্লার দুনিয়ায় বেঁচে আছি' এই পরিতৃপ্তি নিয়ে আজ ঘুমাবো আমরা;<br />
কেবল জেগে থাকবে স্বজন হারানো কিছু অনিবার্য শোকাতুর।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
এর মধ্যে নিরাপদ শহরের দাবিতে আমরা কেউই রাস্তায় নামবো না;<br />
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চাপা পড়বে অতীতের হাজার প্রতিবেদনের ভিড়ে।<br />
অনিয়ম চলবে আগের মতই ঠিকঠাক,<br />
দূর্নীতির চাকা নিরুদ্রপেই ঘুরবে,<br />
কোন সুয়োমুটো রুল জারি হবেনা কোন দায়িত্ববানের প্রতি,<br />
মুদ্রার প্রলোভোনে আরেকটি মৃত্যুফাঁদের অনুমোদন আসবে কোন দায়িত্বশীলের টেবিল থেকে,<br />
এবং আমরা আগের মতই টিভির নিরাপদ পরাবাস্তবে ডুবে থাকবো!adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-15199316226318515282010-03-21T20:51:00.004+06:002010-03-22T10:53:05.907+06:00পদাধিকার বলেপদাধিকার বলে আয়েশ হয় বেশ<br />
গদির পেছনে তোয়ালে ঝুলে<br />
গালে তলপেটে পশ্চাদ্দেশে<br />
পুরুষ্টু চর্বি ছলছল করে।<br />
<br />
পদাধিকারীর উত্থিত পূজাবেদীতে<br />
ধুপ ঘি সুগন্ধী মাখে কুমারী পৌত্তলিক। <br />
<a name='more'></a><br />
<br />
পদাধিকার বলে মিসেস পদাধিকারীর<br />
দশাসই হাতে বাইশ ক্যারেট অহঙ উঁকি দেয়।<br />
<br />
পদাধিকারীর নাতিশীতোষ্ণ কক্ষে শহরের<br />
ভাঁড় সম্প্রদায় গোলটেবিল স্তুতিসভা করে।<br />
<br />
পদাধিকার বলে উন্মুক্ত মঞ্চে<br />
বিশিষ্ট আলোচক বনে যায় কেউ কেউ।<br />
কেউ কেউ হয়ে যান শহরের<br />
সকল নাগরিক সভার সভাপতি...<br />
<br />
এবং পদাধিকার বলে কেউ কেউ কবিও হয়ে যান<br />
অমর হতে চান মুদ্রিত শিলালিপিতে!<br />
<br />
<br />
<i>মাইজদী</i><br />
<i>২১ মার্চ, ২০১০</i><br />
<i>রাত ৮.৪০</i>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-30647747772578900542010-02-14T20:59:00.001+06:002010-02-14T21:00:57.761+06:00একটি উত্তরাধুনিক ছোট গল্প১.<br />
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব চষে বেড়াই। টানা কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর ঠিকুজি মিলে। অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও ছিলো তাতে! দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ডাটাবেজ চেক করতে করতে কয়েক লক্ষ এন্ট্রির মধ্যে এক সময় মিলে যায়। আশানুরূপ রেজাল্টই। জিপিএ-৫।<br />
<br />
<a name='more'></a><br />
২.<br />
ফাঁকে ফাঁকে খোমাখাতায় চোখ রাখি। নাম দিয়ে সার্চ দিই; শহরের নামে দিই, কলেজের নামে দিই। নাহ্ ! মিলে না। তবুও হাল ছাড়া ছাড়ি নাই। নামের ইংরেজী বানানের সম্ভাব্য সব বিন্যাস ট্রাই করে দেখি। মিলে না। হয়তো এখনো নিবন্ধন করে নাই! তবু চেষ্টা থামে না। কয়েক মাস পর অবশেষে সফলতা। বানানে সামান্য পরিবর্তন করা একটা নাম দেখি। ফ্রেন্ডলিস্ট দেখি। সন্দেহ নেই। সেই!<br />
<br />
৩.<br />
তারপর ভূয়া পরিচয় তৈরি। ফ্রেন্ডলিস্ট ধরে ধরে ফ্রেন্ডের ফ্রেন্ডকে রিকোয়েস্ট পাঠানো। কেউ গ্রহণ করে, কেউ করেনা। এক সময় ফ্রেন্ডলিস্টের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফ্রেন্ড হয়ে যায়। এবার বোধহয় তাকে পাঠানো যায়! অতপর: রিকোয়েস্ট। এবং সন্দেহের অবকাশ তৈরি না করেই অ্যাপ্রুভ!<br />
<br />
৪.<br />
নকল পরিচয়ের নকল বন্ধুত্ব চলে। নেটে ঢুকলেই লগইন করে খবর নেয়া। নতুন কোন কলেজে ভর্তি হলো, কী খাচ্ছে দাচ্ছে, নতুন করে কার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব ঠিক ঠিক খবর পাই। স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে, নোটে, অ্যালবামে তথ্য হালনাগাদ হয়। কষ্টগুলোও হালনাগাদ হয়।<br />
<br />
৫.<br />
ধুর বাল! কত কী করার আছে জীবনে!adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-62581472194799852672009-12-07T13:33:00.000+07:002009-12-07T13:33:07.342+07:00ইদানিং জীবনযাপন…গত কিছুদিন ব্লগে আমার উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে। উঁকি দিয়েও দেখা হয়নি খুব একটা। সে যাই হোক। মাঝখানে আমার <a href="http://blog.mukul.us/">ব্লগস্পটের ব্লগটা</a> নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছিলাম। নতুন থিম যোগ করে, সেটার অনুবাদ, প্রয়োজন অনুযায়ি কাস্টমাইজেশন করলাম। আমি প্রোগামার নাই। তাই প্রচুর সময় লেগেছে বিষয়টি বুঝতে। এমন নয় বুঝে গেছি। আসলে ওপেন সোর্স কোডের কারণে এদিক ওদিক থেকে জোড়া দিয়ে, নেটে ছড়ানো টিউটোরিয়াল অনুসরণ করে ব্লগটা মোটামুটি একটা পর্যায়ে দাঁড় করালাম। গবেষণা করতে গিয়ে আমাদের স্থানীয় <a href="http://www.loksangbad.com/">লোকসংবাদ পত্রিকার</a> জন্য ব্লগার দিয়েই একটা ডেমো দাঁড় করিয়ে ফেললাম। সেটা দেখে সম্পাদকসহ সবার খুব পছন্দ হলো। শেষমেষ আমার ডেমোটাই আসল ডোমেইনে হোস্ট করা হলো। :D< <br />
আমার এত প্রতিভা! আগে বুঝি নাই! <img alt=":D" class="wp-smiley" src="http://www.amarblog.com/blog_content/plugins/smilies-themer/Yahoo/4.gif" /> <br />
<br />
<a name='more'></a>ড্রুপালটা ইনস্টল দিতে পারি নাই। এরর দেখায়। <img alt=":(" class="wp-smiley" src="http://www.amarblog.com/blog_content/plugins/smilies-themer/Yahoo/2.gif" /> <br />
<br />
সে যাই হোক, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে গবেষণা করার জন্য নিজের ডোমেইনে পরীক্ষামূলক একটা ব্লগও বানায়ে ফেললাম। লিঙ্ক দিবো না। আমার বন্ধুরা আবার ভুল বুঝতে পারে! ঘর ভাঙার ষড়যন্ত্র (!) করছি, এই অপবাদ মাথায় নিতে রাজি না। <img alt=":-S" class="wp-smiley" src="http://www.amarblog.com/blog_content/plugins/smilies-themer/Yahoo/17.gif" /> <br />
<br />
বলতে ভুলে গেছি, জন্মদিনের উপহার হিসেবে ভাতিজার কাছ থেকে নিজের নামে ডোমেইন উপহার পেলাম। <a href="http://mukul.us/">mukul.us</a> । ফেসবুকে শেয়ার করার পর সুশান্তদা জানালেন, .us আম্রিকার টপলেভেল ডোমেইন। কি আর করা! এইটা বেইচা তো আর আম্রিকার ভিসা পাবো না! <img alt=":|" class="wp-smiley" src="http://www.amarblog.com/blog_content/plugins/smilies-themer/Yahoo/22.gif" /> <br />
<br />
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গবেষণার পুরা বিষয়টাতে দারুণ মজা পাচ্ছি। সৃষ্টিশীল যে কোন কিছু করতে ব্যাপক আনন্দ! গত কিছুদিন এই নিয়ে আমার কাজের শেষ নাই। দিন রাত খালি এটা নিয়েই পড়ে আছি। অফিস ছুটির পরেই বাসায়। আড্ডাও কমিয়ে দিয়েছি। মাঝখানে এমন হয়েছে, অনেক সময় পিসির সামনে বসে থাকার কারণে ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথাও হয়েছে। এখন অবশ্য ব্যথা প্রুফ হয়ে গেছি! <img alt=":-w" class="wp-smiley" src="http://www.amarblog.com/blog_content/plugins/smilies-themer/Yahoo/45.gif" />adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-24979484094618098702009-11-27T20:42:00.001+07:002009-11-27T20:45:05.667+07:00এ কবিতাঞ্জাল টু মুক্লা , অন হিজ বার্থ ডে / হোসেইন<h1><span id="title_92369"> <a href="http://hossain.amarblog.com//posts/92369/" rel="bookmark" style="font-family: SolaimanLipi; font-size: 20px; font-weight: bold;">এ কবিতাঞ্জাল টু মুক্লা , অন হিজ বার্থ ডে</a></span></h1><hr class="post_title" /><span id="title_92369"></span><br />
<span id="auth_92369">লিখেছেন : <a href="http://hossain.amarblog.com/" style="font-family: SolaimanLipi; font-size: 16px;">হোসেইন</a> ২৭ নভেম্বর (শুক্রবার), ২০০৯ ১২:২০ অপরাহ্ন </span><br />
<br />
তোমাদের এই সব রঙিলা মেলায়<br />
কেউ একজন এসেছিল মফস্বল থেকে,<br />
তখনও সে শিখেনি মুখোশ কিভাবে আটকাতে হয় মুখের ওপর,<br />
কিভাবে চোখে চোখ রেখে অবলীলায় মিথ্যে বলতে হয়,<br />
কিভাবে একহাতে হাত ধরে রেখে,<br />
অন্য হাত দিয়ে সন্তর্পনে তুলে নিতে হয় ঘাতক ছুরি।<br />
<a name='more'></a>তখনও তার হৃদয়টা বেশ বড় ছিল, <br />
সেখানে খা খা শুন্যতায় সে তোমাকে আর আমাকে জায়গা করে দিয়েছিল,<br />
অবুঝ বিশ্বাস তার ,<br />
ভালোবাসা দিলে অসুস্থতা সারিয়ে তোলা যায়।<br />
<br />
তোমার আর আমার সাথে সেও স্লোগানে মুখরিত করেছিল মিছিল,<br />
মোড়ের পাশে পুলিশের গাড়ি দেখলে, সেই বোকার মতো দৌড়ে গেছে সামনে,<br />
আর পেছন থেকে আমরা চিৎকার করে দিয়েছি উৎসাহ;<br />
আমরাই তাকে মাঝরাতে ঘর থেকে বের করে এনে<br />
এই রাস্তায় দাড় করিয়েছিলাম<br />
আমরাই আমাদের স্বপ্নের অনেকখানি ধার দিয়ে<br />
তাকেও করেছিলাম অলস স্বপ্নবান।<br />
<br />
তারপর স্টেশনে গাড়ি পৌছালে<br />
আমি ও তুমি , আমরা সবাই যার যার গন্তব্যে<br />
রওনা হয়েছি টাইমটেবল মিলিয়ে;<br />
আমাদের যাওয়ার জায়গা ছিল অনেক<br />
অথবা না থাকলেও আমরা ঠিকই জায়গা খুঁজে নিতে জানতাম;<br />
<br />
সেই বিকেলে রেলগাড়িটা প্লাটফরম ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরও<br />
আমরা কেউ খেয়াল করে দেখিনি,<br />
একটা বোকা ছেলে <br />
একাকী প্লাটফরমেই দাড়িয়ে আছে।<br />
অথচ দুপুরে আমরা সবাই একই সাথে স্টেশনে পৌছেছিলাম।adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-81131960033203776962009-11-23T10:29:00.005+07:002014-03-02T11:16:20.222+06:00ব্লগস্পটে অ্যানিমেটেড সাম্প্রতিক পোস্ট সাইডবার তৈরি করবেন যেভাবে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন আমার ব্লগস্পটে বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট কিভাবে সংযোজন করেছি তা বিস্তারিত লেখার জন্য। তাই আজকে লিখছি "অ্যানিমেটেড সাম্প্রতিক পোস্ট/লেখা" ম্যেনু কিভাবে করেছি তা নিয়ে। আপনার সাম্প্রতিক ব্লগ পোস্টগুলোকে উপরে নিচে স্ক্রলের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করে এই গ্যাজেটটি। এই ইফেক্টটির নাম <a href="http://jqueryfordesigners.com/ajax-spy/">Simple Spy</a> । <br />
<a name='more'></a><br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIEkccBO1iFZmCkT372BpiCzpHM-IFv1ZEaU1XsE-WCoJGXdRX6ew7bPBD728KLyOkeuOE9ymb4caPFmcwfgSmQ0y6nk1D_S6FqEmcCoa9sVR0bw9nIuIQi5b7Z3kZDVIbh4S1e3M1fkE/s1600/Untitled.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIEkccBO1iFZmCkT372BpiCzpHM-IFv1ZEaU1XsE-WCoJGXdRX6ew7bPBD728KLyOkeuOE9ymb4caPFmcwfgSmQ0y6nk1D_S6FqEmcCoa9sVR0bw9nIuIQi5b7Z3kZDVIbh4S1e3M1fkE/s1600/Untitled.png" height="309" width="320" /></a></div>
<br />
Bloggers এর Sidebar Gadget থেকে Add a gadget খুলুন। এরপর select html অপশন বেছে নিন। সব html কোড গ্যাজেটে কপি করুন। নিচের কোডটুকু পেস্ট করুন। <br />
<br />
<pre class="brush: html"><script src="http://ajax.googleapis.com/ajax/libs/jquery/1.3.2/jquery.min.js" type="text/javascript"></script>
<style type="text/css" media="screen">
<!--
#spylist {
overflow:hidden;
margin-top:5px;
padding:0px 0px;
height:350px;
}
#spylist ul{
width:220px;
overflow:hidden;
list-style-type: none;
padding: 0px 0px;
margin:0px 0px;
}
#spylist li {
width:208px;
padding: 5px 5px;
margin:0px 0px 5px 0px;
list-style-type:none;
float:none;
height:70px;
overflow: hidden;
background:#fff url(http://i879.photobucket.com/albums/ab351/bloggerblogimage/blogger/post.jpg) repeat-x;
border:1px solid #ddd;
}
#spylist li a {
text-decoration:none;
color:#4B545B;
font-size:11px;
height:18px;
overflow:hidden;
margin:0px 0px;
padding:0px 0px 2px 0px;
}
#spylist li img {
float:left;
margin-right:5px;
background:#EFEFEF;
border:0;
}
.spydate{
overflow:hidden;
font-size:10px;
color:#0284C2;
padding:2px 0px;
margin:1px 0px 0px 0px;
height:15px;
font-family:Tahoma,Arial,verdana, sans-serif;
}
.spycomment{
overflow:hidden;
font-family:Tahoma,Arial,verdana, sans-serif;
font-size:10px;
color:#262B2F;
padding:0px 0px;
margin:0px 0px;
}
-->
</style>
<script language='JavaScript'>
imgr = new Array();
imgr[0] = "http://i43.tinypic.com/orpg0m.jpg";
imgr[1] = "http://i43.tinypic.com/orpg0m.jpg";
imgr[2] = "http://i43.tinypic.com/orpg0m.jpg";
imgr[3] = "http://i43.tinypic.com/orpg0m.jpg";
imgr[4] = "http://i43.tinypic.com/orpg0m.jpg";
showRandomImg = true;
boxwidth = 255;
cellspacing = 6;
borderColor = "#232c35";
bgTD = "#000000";
thumbwidth = 70;
thumbheight = 70;
fntsize = 12;
acolor = "#666";
aBold = true;
icon = " ";
text = "comments";
showPostDate = true;
summaryPost = 40;
summaryFontsize = 10;
summaryColor = "#666";
icon2 = " ";
numposts = 10;
home_page = "http://blog.mukul.us/";
limitspy=4
intervalspy=4000
</script>
<div id="spylist">
<script src='http://c0d3.googlecode.com/files/recentpostthumbspy-min.js' type='text/javascript'></script>
</div> </pre>
<br />
<br />
<br />
এরপর গ্যাজেটটি সেভ করে নিন। ব্যাস হয়ে গেলো। আপনার সাইডবারের আকারের সাথে মিল রাখার জন্য <br />
width : 220px;<br />
width:208px:<br />
এর স্থানে পিক্সেল প্রয়োজন অনুযায়ি বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারেন।<br />
আর হ্যাঁ, <span style="margin-left: 0px ! important;"><code class="plain">home_page = "<blink><span style="color: red;">http://blog.mukul.us/</span></blink>";</code></span> এর জায়গায় আপনার নিজের ব্লগের ঠিকানা দিতে ভুলবেন না। নইলে... ! ;-)<br />
<br />
আরেকটা কথা, কারো কারো ব্লগে পোস্টের ছবির থাম্বনেইল ভিউ নাও আসতে পারে।<br />
সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগ সেটিংস থেকে RSS feed setting summary না দিয়ে Full Feed সিলেক্ট করে নিন।<br />
আশা করি কোন সমস্যা হবে না।<br />
<br />
<ul>
<li>লেখাটি <a href="http://www.abu-farhan.com/2009/07/recent-posts-for-blogger-with-thumbnail-and-simple-spy/">আবু ফারহানের ব্লগ টিউটোরিয়াল</a> অনুসরণে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আরো বিস্তারিত পাবেন।</li>
</ul>
</div>
adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com10tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-23848475523951160932009-11-16T11:34:00.007+07:002009-11-16T20:00:37.466+07:00নতুন রুপে আমার ব্লগস্পটসামহোয়্যারইন আর আমারব্লগেই ব্লগিং করে আসছি গত কয়েক বছর ধরে। তাই ব্যক্তিগত ব্লগস্পট নিয়ে নাড়াচাড়া করা হয়নি খুব একটা। মাঝে মধ্যে পোস্টের ব্যাকআপ রাখতাম খালি। গত কিছুদিন ধরে ব্লগস্পটটা নিজের মত সাজিয়ে নিবো ভাবছিলাম। সেই উদ্দেশ্যে গত কয়েকদিন বেশ গুতোগুতি করলাম ব্লগার টেমপ্লেট নিয়ে। অনেক খুঁজে পেতে বর্তমান<a href="http://blogtemplate4u.com/2009/07/magazine-template-r15.html"> ম্যাগাজিন টেমপ্লেটটাই</a> বেশি পছন্দ হলো। টেমপ্লেটের অনুবাদ, ডিফল্ট চেহারা নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে গিয়ে এইচটিএমএল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হলো। যদিও আমি টেকি লোক না। প্রোগ্রামিংও জানা নেই। কিন্তু গুতোগুতি করে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে গেলাম। গুগলিং করে এদিক ওদিক থেকে কোড নিয়ে ডিফল্ট চেহারা, ব্যবহার উপযোগিতা পরিবর্তন করলাম। এখন নিজের কাছে মোটামুটি ভালোই লাগছে। সৃষ্টিশীল কিছু করার মজাই আলাদা! :-)<br />
<a name='more'></a>ডিফল্ট টেমপ্লেটে ছিলোনা, কিন্তু কোড পরিবর্তন করে নতুন যোগ করেছি এমন কাজের তালিকা:<br />
<div style="background-color: #cfe2f3;"><br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">১. ইন্টারফেস এর বাংলা অনুবাদ<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">২. ফন্ট সাইজ ঠিক করা, রঙ পরিবর্তন<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৩. প্রয়োজন অনুযায়ি টপমেন্যুতে নতুন লিঙ্ক সংযোজন করা<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৪. ব্লগ পোস্ট বক্স, উইজেট বক্সের আকার পরিবর্তন<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৫. প্রথম পাতায় ব্লগ পোস্টে <b>পুরোটা পড়ুন</b> সুবিধা যোগ করা<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৬. <b>ফেসবুকে যোগ করুন</b> লিঙ্ক সুবিধা যোগ করা<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৭. <a href="http://mukulbd.blogspot.com/2008/07/bangla-blog.html">Bangla Help</a> পেজ যুক্ত করলাম। (<a href="http://www.nirpata.com/?page_id=5">হাসিব ভাইয়ের সহায়িকাটাই</a> সরাসরি জুড়ে দিয়েছি)<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৮. বাংলা তারিখ প্রদর্শন সুবিধা যোগ করা (এই বিষয়ে খোঁজ দিয়ে সাহায্য করেছেন <a href="http://www.mahbub-sumon.com/">মাহবুব সুমন</a>)<br />
</div><div style="background-color: #cfe2f3;">৯. অ্যাড্রেস বারে নিজস্ব ফেভিকন যোগ করা (ফেভিকন সহজেই তৈরি করুন <a href="http://www.favicon.cc/">এই সাইট থেকে</a>)<br />
</div><br />
এইচটিএমএল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সুবিধা হলো, পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় <a href="http://www.loksangbad.com/">লোকসংবাদ</a> পত্রিকার জন্য ব্লগার দিয়েই একটা ডেমো (www.loksangbad.blogspot.com) তৈরি করে ফেললাম। গতকাল রাতে ফ্রি ডোমেইন নেম নিলাম <a href="http://www.loksangbad.co.cc/">www.loksangbad.co.cc</a> । তারপর সার্থকভাবে ব্লগার থেকে রিডাইরেক্ট করে ফ্রি ডোমেইন এর সাথে সংযুক্ত ও করে ফেললাম। কোড পরিবর্তন করতে গেলে প্রচুর ঝামেলাও হয়। সামান্য ভুল হলেই কাজ করে না। ঠেকেঠুকে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করলাম। :-)adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com10tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-4551467813299041622009-11-03T22:55:00.014+07:002009-11-14T11:52:15.440+07:00এবার তবে ঘুমাতে যাইএবার তবে ঘুমাতে যাই<br />
রাত পেরুলেই আর এক ভোর<br />
ভোর কাটলেই অফিসঘর<br />
বিকেল বেলায় এদিক ওদিক<br />
ঘুরে ফিরে কাটিয়ে দিলেই আর এক সাঁঝ<br />
তামাক সঙ্গে ফুরাবে মিনিট দুইশ' পাঁচ।<br />
<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
এবার তবে ঘুমাতে যাই<br />
অসাড় মন এপাশ ওপাশ<br />
এভাবেই তবে ঘুমাতে যাই<br />
রাত পেরুলেই আর এক ভোর...<br />
<br />
<br />
<span style="font-size: x-small;"><i>মাইজদী, নোয়াখালী<br />
নভেম্বর ৩, ২০০৯</i></span>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-46757710267628406902009-11-02T14:28:00.017+07:002009-11-14T11:50:47.146+07:00থ্যালাসেমিয়া<span style="font-weight: bold;">জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস</span> আজ। সকালেও এটা জানতাম না। ব্লগে চোখ বুলিয়ে এক পোস্ট থেকে জানলাম। কাকতাল হলো, আজ সকালেই এনসিটিএফ'র এক শিশু সদস্যের ভাইকে রক্ত দিলাম। ওর ভাইয়ের বয়স ৫ এর মতো। জন্ম সূত্রেই <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE">থ্যালাসেমিয়া</a>। উইকিপিডিয়াতে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলাম:<br />
<br />
<a name='more'></a><br />
<blockquote><i>একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে। থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া বেটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়াবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। </i><br />
<i>বিশ্বে বেটা থ্যালাসেমিয়ার চেয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। আলফা থ্যালাসেমিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনের সর্বত্র এবং কখনও কখনও ভূমধ্যসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের লোকদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।</i><br />
</blockquote><div style="text-align: justify;">ওর আরেকটা বোনেরও থ্যালাসেমিয়া। ক্লাস ৫ এ পড়ে। প্রতি ১৫ দিন পর পর এক ব্যাগ করে দুই জনকেই রক্ত দিতে হয়। ১৫ দিন পর পর দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করা যে একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কতটা বিড়ম্বনার এবং খরুচে, সেটা জেনে মনটা খারাপ হলো। স্বেচ্ছায় রক্তদাতা পাওয়া গেলেও রক্ত পরিসঞ্চালন করতে প্রায় হাজার খানেক খরচ হয়। সেই সাথে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকার ঔষধ তো আছেই। এভাবেই হয়তো বাকি জীবন দিয়ে যেতে হবে। গত বছরই ওর আরেকটা বোনকে একমাসের মধ্যে রক্ত না দেয়ায় মারা যায়।<br />
<br />
ক্যান্সারের মত এই রোগেরও এখনো কার্যকর চিকিৎসা নেই বলতে গেলে। শুনলাম আমেরিকাতে নাকি চিকিৎসা সম্ভব। তবে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এটা অসম্ভব। যেখানে ওইপরিবারের দুইজন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত।<br />
<br />
স্রেফ এক সপ্তাহ যুদ্ধ বন্ধ রাখলেই নাকি সেই খরচের টাকা দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত শিশুকে এক বছর ফ্রি খাওয়ানো যায়। টাকাটা সমস্ত জটিল রোগের গবেষণা করে প্রতিকারও হয়তো আবিস্কার করা সম্ভব। হায়, সেই পৃথিবী কি কখনো তৈরি হবে? এত এত শিশু যে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে যুদ্ধে, তা নিয়ে পৃথিবীর কোন সেভ দ্য চিল্ড্রেন কখনো নূন্যতম বিবৃতিও দিয়েছে? অথচ আমাদের দেশের সেভ দ্য চিল্ড্রেন এর অভাব নেই। সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইউকে, সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইউএসএ, সেভ দ্য চিল্ড্রেন সুইডেন-ডেনমার্ক, সেভ দ্য চিল্ড্রেন অস্ট্রেলিয়া- সবারই অফিস এবং কার্যক্রম আছে বাংলাদেশে। অথচ যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে, যুদ্ধে শিশু মৃত্যু নিয়ে কখনো তাদের কোন প্রতিবাদ অথবা অন্য কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। না দেশে, না বিদেশে।<br />
<br />
কথাটা এই জন্যেই বললাম, কয়েকদিন আগে সেভ দ্য চিল্ড্রেন সুইডেন-ডেনমার্কের এক বিভাগীয় কর্মশালায় চট্টগ্রাম গিয়েই শিশুটির মার সাথে কথা হয়। উনাকে অভিভাবক হিসেবে জেলার প্রতিনিধি ৪জন শিশুর সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখনই জানতে পারলাম উনার দুই সন্তানেরই থ্যালাসেমিয়া। যাই হোক, কর্মশালায় আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে কথা বলার কোন সুযোগ ছিলো না। নইলে হয়তো সেভ দ্য চিল্ড্রেন এর কর্মসূচী নিয়ে দু'-চার কথা বলতে পারতাম !<br />
</div><br />
<div style="text-align: justify;">যে কথা বলছিলাম। <span style="font-weight: bold;">জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস</span> আজ। স্বেচ্ছায় রক্ত দানে আগ্রহী মানুষ এখনো আছে। যদিও সংখ্যায় তা কমই বলা যায়। রক্ত দিতে ভয় পায় অনেকে। তবে মরণোত্তর চক্ষুদানে আগ্রহী মানুষ একেবারেই নগন্য। আমি নিজেও দেবার মত সাহস অর্জন করতে পারবো কিনা, সন্দিহান! কেমন যেন একটা অস্বস্ত্বিবোধ কাজ করে। হয়তো গোপন কোন সংস্কার কাজ করে ভিতরে! মৃত্যুর পরই তা দেবার কথা কি না! মৃত্যু ব্যাপারটাই কেমন যেন!<br />
<br />
তবে স্বেচ্ছায় রক্তদানের আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। সামান্য সচেতনতাই পারে তা। আমার নিজের কাছে রক্ত দিতে বেশ লাগে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ বার দিয়েছি। যেদিন রক্ত দিই, সেদিন ভালো ঘুম হয়। মনে হয় ঘুমের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি.... ডুবে যাচ্ছি... বেশ অন্যরকম একটা অনুভূতি!<br />
</div>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com7tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-24652217641258659862009-10-20T11:41:00.010+07:002009-11-14T11:59:20.896+07:00"ডে লাইট সেভিংস" সিদ্ধান্তটি আসলে কার ?<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMYR3dKcwb_6X8t5lXZzoKjZvSK0AjwQyZ-tYZrEKYfCBglQSOlcDef1ypUs8s3Q6KbmS_vEeqD09HYkJINbPBmzghuUf298Lnc1QbpEHfUATO3nLDQwmHOM85QgjwP7vLZsXEjSyTMVg/s1600-h/DTS.png" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img alt="" border="0" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5394539696526474002" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMYR3dKcwb_6X8t5lXZzoKjZvSK0AjwQyZ-tYZrEKYfCBglQSOlcDef1ypUs8s3Q6KbmS_vEeqD09HYkJINbPBmzghuUf298Lnc1QbpEHfUATO3nLDQwmHOM85QgjwP7vLZsXEjSyTMVg/s320/DTS.png" style="float: left; margin: 0pt 10px 10px 0pt;" /></a><br />
<span style="text-align: justify;"> গত ১৯ জুন যখন সময় গণনায় <span style="font-weight: bold;">ডে লাইট সেভিংস</span> পদ্ধতি চালু হলো দেশে, খটকা লাগলেও সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। সাধুবাদ জানিয়েছিলাম কারণ নতুন চিন্তা গ্রহণ করার মানসিকতা সরকার ধারণ করছে তাই। খটকা লেগেছিলো এই কারণে যে যে লাইট সেভিংস এর এর মত টেকনিক্যাল একটা বিষয় বুঝার মত জ্ঞান আমাদের মূর্খ রাজনীতিবিদদের হলো কি করে সেটা ভেবে ! সে যাই হোক। সময় এক ঘন্টা এগিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু এখন কবে আবার আগের সাথে এক ঘন্টা সমন্বয় করে পিছিয়ে দেয়া হবে সে সম্পর্কে সরকারের কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা পেলাম না। <a name='more'></a>ইতোমধ্যেই শীতকাল ঘনিয়ে এসেছে। রাতের দৈর্ঘ্য বাড়ছে। বাস্তবিক কারণে অসুবিধায় পড়ে অফিসাগামী মানুষ, স্কুলগামী শিশুরা সময় এখনো না পাল্টানোর কারণে সরকারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অফিসে, ব্লগে, ফেসবুকে প্রচুর মানুষ সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করছে, সরকারকে গালাগালি করছে। কিন্তু তারপরও সরকারের কাছ থেকে কোন সুস্পষ্ট ঘোষণার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তখনই পুরোনো সন্দেহটা আবার ফিরে এলো মনে।<br />
<br />
</span><br />
আমাদের সিদ্ধান্তগুলো কি আসলেই আমরা নিই? <span style="font-weight: bold;">ডে লাইট সেভিংস</span> এর বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীরাই ঠিকমত বুঝে বলে মনে হলো না। তাহলে ঘড়ির কাটা আগিয়ে দেবার ত্বরিৎ সিদ্ধান্তটাই বা কিভাবে নিলো? কে নিলো?<span style="text-align: justify;"> <br />
<span style="font-weight: bold;">ডে লাইট সেভিংস</span> চালু হওয়ার পর কম্পিউটারের ঘড়ি সমন্বয় করার জন্য মাইক্রোসফট একটি প্যাচ রিলিজ করে। আমি প্যাচটি ডাউনলোড করে নিই। তাই স্ব্য়ংক্রিয়ভাবে ঘড়ির সময় সিনক্রোনাইজ হয়ে যায়। প্যাচটিতে ঘড়ির কাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার ঠিক করার সময় দেয়া আছে ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১ টায় ঘড়ির কাটা ১ ঘন্টা পিছিয়ে নেয়া হবে।<br />
<br />
এখন প্রশ্ন হলো, মাইক্রোসফট এই তথ্য কোত্থেকে পেলো? বাংলাদেশের সময় কখন আগাবে, কখন পিছাবে- মাইক্রোসফটের কাছে এই তথ্য আছে, অথচ সরকারের মন্ত্রীরা জানে না, এর পেছনে রহস্য কী? নাকি রাজনৈতিক সকল সিদ্ধান্তের মত এই সিদ্ধান্তটাও পশ্চিমা প্রভু্দের কাছে থেকেই এসেছে ? দেশের নাগরিকদের এই বিভ্রান্তিতে রাখার পেছনে রহস্যটা কী?<br />
<br />
নাকি আমিই বোকার মত বেশি বেশি ভাবছি !!!<br />
</span>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-79374156497810408672009-09-03T23:09:00.000+07:002009-11-14T12:15:07.699+07:00লাল শাড়ী’র মালিকিনী<span style="line-height: 1.8em; text-align: left;"> তুমি দোলাও<br />
আমি দুলি<br />
আমি আড় চোখে চাইতে চাইতে<br />
কানাগলি দিয়া হাঁটি।<br />
<br />
ওগো লাল শাড়ীর মালিকিনী<br />
তুমি কোথা হইতে কোথা যাও<br />
আমি বুঝিতে না পারি।<br />
</span><br />
<a name='more'></a><br />
আমি আড় চোখে চাইতে চাইতে<br />
কানাগলি দিয়া হাঁটি।<br />
<br />
<br />
<i>১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯<br />
রাত ১১.৩০</i>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-13480792392765315642009-09-02T11:35:00.004+07:002009-11-14T12:01:55.910+07:00একটি গান গাও আজ<a href="http://media.somewhereinblog.net/images/mukulbdblog_1231564985_1-love_song.jpg" rel="lytebox"><img src="http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/mukulbdblog_1231564985_1-love_song.jpg" style="border: 1px solid rgb(204, 204, 204);" /></a> <br />
<span style="line-height: 1.8em; text-align: left;"><br />
প্রিয়, একটি গান গাও আজ -<br />
শীত সকালের রোদ্দুরের মত নম্র উষ্ণ,<br />
চড়ুইয়ের পালকের মত মোলায়েম, আদরমাখা।<br />
<br />
</span><br />
<a name='more'></a><br />
দুরুত্ব ঘুচে যাক বেতারে; কানের কাছে ফিস ফিস করে উঠুক ছন্দিত তরঙ্গ।<br />
যাই হোক, তবু কিছু একটা হোক; কিছু একটা গুণগুণ করুক।<br />
কিছু একটা তুফানের মত ছুঁয়ে যাক,<br />
হাজার রাত্রির নীরবতা ভেঙে কিছু একটা গ্রাস করুক,<br />
আমাদের অগ্রন্থিত ভাবাবেগ প্রকাশ্য মিছিলে আসুক...<br />
<br />
<span style="font-size: x-small;"><i>মাইজদী, নোয়াখালী<br />
১০ জানুয়ারি, ২০০৯</i></span>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-69388130487486525022009-09-02T11:34:00.003+07:002009-11-11T22:33:53.161+07:00আজ কোন কাজ নয়আজ কোন কাজ নয়<br />
আজ আলসেমির গলা জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকবো।<br />
<br />
যে যাই বলুক,<br />
আজ কোন কথা নয়<br />
হাসি নয় ঠাট্টা নয়<br />
রাগ নয় অভিমান নয়<br />
আজ দুঃখগুলোকে হিমঘরে পাঠিয়ে<br />
পর্দা টানবো কাঁথা মুড়ি দেবো।<br />
<br />
আজ কোন ফোনকল নয় টিভি নয়<br />
স্মৃতিকাতরতা নয় সংক্ষিপ্ত বার্তা নয়<br />
চুলোয় দাউ দাউ আগুণ নয়<br />
জলকেলি নয় প্রার্থনা নয়<br />
বাইনারী আবেগ বিনিময় নয়<br />
কামনা জর্জরিত কল্পনাবিলাস নয়।<br />
<br />
আজ নিজস্ব কঠিন কঠোর সাব্বাথ;<br />
আজ কোন কাজ নয়<br />
আজ আলসেমির গলা জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকবো।<br />
<br />
<br />
<br />
<i>১৪ নভেম্বর ২০০৮</i>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-28067213213227429102009-09-02T11:32:00.002+07:002009-09-02T11:33:10.706+07:00আকাশের গল্প<p style="text-align: left; line-height: 1.8em;"> আমি আকাশ ছুঁইনি অনেক দিন,<br />দু'বছর আগেও নিয়ম করে প্রতি সন্ধ্যায়<br />অন্তত: একবার আকাশ ছুঁতাম।<br />আমাদের সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্বপূর্ণ,<br />সূর্যাস্তের পর আকাশ ছাদের খুব কাছাকাছি চলে আসতো<br />হাঁটতে হাঁটতে পাশাপাশি দুই বন্ধুর মত আমি<br />আকাশের হাত ধরে মৃদু ঝাঁকুনি দিতাম।<br /><br />দু'বছর আগেও দুপুরবেলা রোদ গাঢ় হলে পর<br />ঘর্মাক্ত গায়ে আকাশকে ডেকে নরম বকুনি দিতাম।<br />নরম ধমকেই কাজ হতো, আকাশ আমার কথা শুনতো,<br />কখনো পাঠিয়ে দিতো ছায়ার মত যাযাবর মেঘদল,<br />কখনো বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলে হামলে পড়তো ঠান্ডা হাওয়া।<br />উদাসী হাওয়ায় স্বস্তি পেয়ে ফুরফুরে মেজাজে মোল্লার চা দোকানে বসে<br />এককাপ গরম চা, সাথে সদ্য প্যাকেট ভাঙা তাজা তামাক...<br /><br />সন্ধ্যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়টাতে আড়াইতলার খোলা বারান্দায়<br />আকাশের সাথে জমজমাট আড্ডা হতো,<br />আকাশের বন্ধুরা-- মিল্কিওয়ে, অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ, আরো যতো খটোমটো<br />নামের অজানা অচেনা মহাজাগতিক বন্ধুরাও সাথী হতো।<br /><br />আড্ডার অন্তরঙ্গতায় তোমার কথাও হতো;<br />আকাশ সবই জানতো--<br />প্রথম দেখাদেখির সলাজ দৌড়, ফোনে খুনসুটির নানান সূত্র<br />ধরে হাসি ঠাট্টাও চলতো।<br />এমনকি কখনো কখনো আকাশ আমাদের সম্মানে উপহার দিতো<br />তারা খসার দৃশ্য- ভবিষ্যত সুখ কল্পনায় সংস্কারাচ্ছ্ন আমরা<br />মোনাজাতের ভঙ্গিতে মুখে হাত বুলিয়ে নিতাম।<br />শত মাইল দূর থেকেও মহাজাগতিক ঘটনাগুলো<br />দু'জনে মিলে উপভোগ করা যেতো--<br />যেমন পূর্ণিমা দেখতাম দু'জনে একই সাথে - যদিও মধ্যিখানে একবেলার পথ!<br />আমি আকাশকে নিয়ে সদ্য লিখিত কোন কবিতা উৎসর্গ<br />করবো বলে মনে মনে ঠিক করেছিলাম, একদিন তুমুল<br />আড্ডার ফাঁকে তাকে সে কথা জানিয়েও দিয়েছিলাম।<br /><br />আমি কথা রাখতে পারিনি, যেমন তুমি রাখোনি;<br />আকাশকে নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয়নি আর।<br />তুমি চলে যাওয়ার পর গত দু'বছর ধরে<br />আমি তাই একটিবারও আকাশের মুখোমুখি হইনি।<br /><br /><br /><br /><em>২ নভেম্বর, ২০০৮</em> </p>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-14080313373187479022009-09-02T11:32:00.001+07:002009-11-12T14:43:15.172+07:00একজীবনে (কুট্টিকালের একখান কোবতে)একজীবনে তোমায় চেয়ে<br />নিঃস্ব হলাম বিশ্বলয়ে<br />সকল স্বপন হারিয়ে গেলো<br />অন্ধকারের অচিন গাঁয়ে।<br /><br />সকল স্মৃতি সকল প্রীতি<br />শূন্য হল এক নিমেষে<br />স্থবির হলাম বধির হলাম<br />হৃদয় জ্বলে বিষে।<br /><br /><br /><em>২৯.৩.১৯৯৭</em>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-18448931224355323862009-09-02T11:30:00.000+07:002009-11-12T14:43:15.172+07:00কন্যা সিনান করিতে যায়কন্যা সিনান করিতে যায়<br />হিয়া দোলে তাহার টানে<br />ঢেউ খেলে পুকুরের পাড়ে<br />আমার মনটা আনচান করে।<br /><br />কন্যা সিনান করিতে যায়<br />আঁচল লুটিয়া পড়ে ঘাটে<br />গলার ভাঁজে শ্যামল ত্বকে<br />রুপার চমক ঝিলিক মারে।<br /><br />জলেশ্বরী জলেতে নামে<br />ডুব ডুব ডুব খেলে নরম স্রোতে<br />ভরা গতরের মায়া মিশে যায়<br />নিস্তরঙ্গ দেশে প্লাবন উঠায়।<br /><br />তাহার দীঘল ঘন কেশে<br />আষাঢ়ের কালো মেঘেরা লুকায়<br />ভেজা ভেজা কেশে<br />যেন জলপ্রপাত ঝরে।<br /><br />দূরে বসে দেখি সঙ্গোপনে<br />আর কেউ না দেখুক<br />আর কেউ না জানুক<br />শুধু আমি দেখিবো রুপের ঝলক।<br /><br /><br />- - -<br /><em>মাইজদী, নোয়াখালী<br />২৪ অক্টোবর ২০০৮</em>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-12505062180269347342009-09-02T11:29:00.003+07:002009-11-11T22:29:50.422+07:00শততম দুঃখ গাঁথা<div style="line-height: 1.8em; text-align: left;">আমার মৃত্যুর পর সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে।<br />
কলেজ পড়ুয়া তরুণীরা বরাবরের মতই মুখরিত<br />
আনন্দে প্রধান সড়ক দিয়ে হেঁটে যাবে,<br />
বাতাসে তাদের বেণী দুলবে নিয়মিত ছন্দে।<br />
মুঠোফোনে, এসএমএসে, ইমেইলে বিনিময় হবে হৃদয়ের মৌলিক ভাষা।<br />
আমার মৃত্যুর পর শহরের প্রতিটি রাস্তায়<br />
ট্রাফিক সিগনালগুলো নিয়মিত বিরতিতে জ্বলবে নিভবে<br />
যান্ত্রিক সময় নির্ধারক একমুহুর্তও এদিক ওদিক করবে না।<br />
আমার মৃত্যুর পর সিনেমাহলগুলোতে উপচে পড়া ভীড়ের কমতি হবে না<br />
বক্স অফিসে নতুন নতুন হিট ছবি নতুন আয়োজনে আসতেই থাকবে;<br />
সন্ধ্যার পর জেগে উঠবে মার্কেট, পার্ক, নিষিদ্ধ আনন্দের ঘর।<br />
আমার মৃত্যুর পর শহরের প্রতিটি অলিগলিতে হবে স্বাভাবিক কলরব,<br />
লেকের পাড়ের ঝুলন্ত রেস্তোরায় হাসবে সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ তরুণীরা,<br />
কোথাও সুনসান নিরবতা নামবে না, যেমন নেমেছিলো এক কারফিউর রাত্রিতে।<br />
আমার মৃত্যুর পর আন্তর্জালের জগতে আলোড়ন উঠবে না,<br />
সার্চের ঘরে কৌতুহলী কেউ লিখবে না নাম, জানতে চাইবে না<br />
ঐ মায়ার জগতে আমার কোন অনুভূতি ছড়ানো আছে কি না।<br />
<br />
আমার মৃত্যুর পর স্বজনরা কাঁদবে, ওদের কান্নাটাই স্বাভাবিক<br />
— ওটা অস্বাভাবিক নয়, ভীষণ রকম প্রত্যাশিত।<br />
আমার মৃত্যুর পর সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে<br />
কেবল অস্বাভাবিক হবে এক জোড়া জীবিত চোখ<br />
একদিন যে চোখে উপেক্ষার বাণী ছিলো, ছেড়ে যাবার<br />
তাড়না ছিলো, সেই জোড়া চোখ ম্লান হবে মুহুর্তের অপরাধবোধে…<br />
<br />
<br />
<br />
<i>মাইজদী, নোয়াখালী<br />
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</i> <br />
</div>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-38750459038113457772009-09-02T11:29:00.001+07:002009-11-12T14:43:15.172+07:00শরৎ বিকেলে<p style="text-align: left; line-height: 1.8em;"> জানালা গলে বখাটে রৌদ্র<br />আঘাত হানে বিকেলের ঘুমে।<br />কাশরঙা মেঘ চঞ্চলতা দেখায়<br />এই আসে এই যায়।<br /><br />চপলা তরুণীরা হেঁটে যায়<br />তাদের ইষৎ সলজ্জ গালে চুমু<br />খেয়ে যায় কনে দেখা আলো;<br />কি নির্মম সুন্দর হেঁটে যায়!<br /><br />শরৎ মেঘ কোথায় যায়?<br />কোথায় হারায়?<br />তরুণীরা হেঁটে যায়,<br />তরুণীরা কোথায় যায়?<br /><br /><br /><em>মাইজদী, নোয়াখালী<br />১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</em> </p>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-75812720725708960272009-09-02T11:28:00.004+07:002009-11-11T22:34:19.716+07:00তুই<div style="line-height: 1.8em; text-align: left;">তুই খুব খিটখিটে হয়ে যাচ্ছিস<br />
সারাক্ষণ ভ্রু কুঁচকে রাখছিস আজকাল।<br />
তুই এখন শরীরের যত্ন নিচ্ছিস না, ঘামে ভেজা কাপড়<br />
দলা করে রাখছিস আলনায়, খেয়াল আছে?<br />
লোডশেডিং এর অবসরে চাঁদ দেখিস না বারান্দায় বসে,<br />
পূর্ণিমা তোর কাছে অসহ্য লাগে?<br />
তুই দুর্ব্যবহার করছিস ঘরের মানুষের সাথে,<br />
বন্ধুদের কথার পিঠে ঠেস মারছিস বেশি বেশি।<br />
তুই সিগারেট বেশি টানছিস এখন,<br />
ছাই ফেলে নোংরা করছিস মেঝে।<br />
তুই অসামাজিক হয়ে যাচ্ছিস,<br />
কাউকে ফোন করিস না, একসাথে বসে<br />
সিনেমা দেখিস না, গুণগুণ করে গান গাইতে গাইতে<br />
পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটিস না।<br />
কথার ফাঁকে তোর মুখে এখন খিস্তি আসে<br />
তোর কপালে গোপন রাগের ভাঁজ ফুটে ওঠে আনমনে;<br />
কিসের অভিমানে?<br />
তু্ই আগের মত নেই; তোর কী হয়েছে?<br />
<br />
<br />
<i>১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</i> <br />
</div>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-8898557329994100552009-09-02T11:28:00.003+07:002009-11-11T22:30:10.261+07:00যখন তোমার শহরে যাই<div style="line-height: 1.8em; text-align: left;">যে শহরে জন্মেছি- প্রিয় মাইজদীতে, সে শহর ছাড়া<br />
আর কোন শহর আপন মনে হয় না; আপন হয়ে ওঠে না।<br />
তুমি যে শহরে আছো, সে আমার জন্ম শহর নয়।<br />
স্বভাবতই আমার আপন শহর নয়,<br />
প্রিয় নয়, নয় পুরোনো ভৃত্যের মত বিশ্বস্ত।<br />
তোমার সুবাদে ওই শহরের প্রতিটি রাস্তা আমার হয়ে ওঠার প্রবল<br />
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, আমার হয়ে ওঠে না।<br />
তোমার শহর তার সমস্ত ঐশ্বর্যের ডালি মেলে ধরেও<br />
আমাকে সুখী করতে পারে না,<br />
অসুস্থ্য বোধ করি কৃত্রিম চাকচিক্যের শহরে।<br />
<br />
তোমার শহর আমার শহর নয়,<br />
তবু তা আমার হয়ে উঠেছিলো কয়েকটি মাস।<br />
যেমন হাসপাতালের নার্সগুলো আপন হয়ে ওঠে কিছুকাল।<br />
তারপর রোগ সারলে পরে ভুলে যাওয়া হয় ক'দিন পরেই।<br />
<br />
তোমার শহরের প্রতিটি ধূলিকনা আমাকে উত্তপ্ত লেজারবীমের মত আঘাত করে,<br />
আমাকে অসুস্থ্য করে। তারপরও আমি যাই, কখনো যেতে হয় দায়িত্বের টানে।<br />
তখন ওই শহরের প্রতিটি রিক্সা খেয়াল করি,<br />
প্রতিটি সিএনজি, প্রতিটি বাসের জানালার পাশের সীট।<br />
প্রতিটি রাস্তার পাশের আকাশ ছোঁয়া অ্যাপার্টমেন্টের জানালার পর্দা গলে উঁকি দেয় তোমার মুখ-<br />
তোমার মুখের আদলের মত ছায়া ক্রমাগত বিভ্রমে নিমজ্জিত করে আমায় ।<br />
<br />
তোমার শহরের সকল তরুণী সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়<br />
আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ করে দেয়,<br />
সবার মাঝে যেন তোমার ছায়া দেখে চমকে উঠি;<br />
পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পেরে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিই।<br />
<br />
তোমার শহরে গেলে আকাশছোঁয়া দালানের শোভা দেখি না,<br />
শপিং মল খুঁজি না, লোভনীয় অ্যাপার্টমেন্টের বিজ্ঞাপন সন্ধান করি না।<br />
তোমার শহরে আমি শেয়ার কেনাবেচা করতে যাই না,<br />
উচ্চ বেতনের চাকরির ইন্টারভ্যু ও দিতে যাই না।<br />
<br />
বিশ্বাস করো, জাগতিক কাজের ছুতোয়<br />
ওই নির্মম শহরে কেবল তোমাকেই খুঁজতে যাই<br />
আর কিছু নয়...<br />
<br />
<br />
<i>১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</i> <br />
</div>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8472637178875222500.post-58198224846428798492009-09-02T11:26:00.001+07:002009-11-11T22:33:27.050+07:00বহুগামীএক পোশাক পরি সর্বোচ্চ ত্রিশ দিন,<br />
জুতো পাল্টাই ছ’মাসে একবার,<br />
মুঠোফোনের মডেল পাল্টে একবার বছরে,<br />
খাদ্যাভ্যাস তিনবেলায় তিনরকম!<br />
<br />
সিগারেট শুরু গোল্ডলীফে, তারপর<br />
ট্রিপল ফাইভ হয়ে বেনসন।<br />
প্রতিদিনকার আড্ডায় নবাগত মুখ<br />
নিত্য নতুন বৈচিত্র্যে ভরপুর।<br />
<br />
ভালো লাগে নতুন ফিল্ম, নতুন সুগন্ধী,<br />
নতুন অর্কিড, নতুন প্রযুক্তি।<br />
<br />
স্বভাবে বহুগামী, চিন্তায় বহুগামী,<br />
সচেতনে বহুগামী, অবচেতনেও বহুগামী।<br />
কেবল তোমার বেলায় বিপরীত-<br />
সেই যে প্রেমে পড়লাম, নতুন করে আর<br />
কাউকে পাওয়ার ইচ্ছে জাগলো না!<br />
<br />
<br />
<i>মাইজদী, নোয়াখালী<br />
৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮</i>adminhttp://www.blogger.com/profile/03255711056922790771noreply@blogger.com0