rss

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০০৮

আরণ্যক

এখানে পৃথিবীর তাবৎ মূল্যবান ঘড়িই মূল্যহীন,
এখানে নেই গাড়ির হর্ণ, নেই রোড অ্যাক্সিডেন্টের বালাই,
এখানে যান্ত্রিক পৃথিবীর সমস্ত গুঞ্জরণ প্রশান্তির বিবরে হারিয়ে যায়।
এখানে ভোরের সোনালী রোদ্দুরকে ঢেকে দেয়না ধোঁয়াটে অন্ধকার,
এখানে ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজেনা ধুমধাড়াক্কা গান;
এখানে ভোরে গান গায় হাজারো পাখি, রাতে ক্ষুধার্ত হায়েনা।
এখানে শিকারের আশায় ওৎ পেতে থাকে হিংস্র জাগুয়ার,
এখানে উৎসবে মত্ত নিশাচর পৃথিবী।
এখানে অন্ধকারের দূর্গ গড়ে আকাশছোঁয়া বৃক্ষ,
এখানে পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় বন্দী নগ্ন পৃথিবীর অশ্লীলতা।
এখানে নেই প্রাত্যহিক সীমাবদ্ধতা।

এখানে আমি যখন তখন সবুজ ঘাসে পা বিছিয়ে স্বপ্নদৃশ্য আঁকতে পারি।
ইচ্ছে হলেই প্রতিযোগিতায় মাততে পারি
ক্ষীপ্র চিতার সাথে,
ইচ্ছে হলেই খুলতে পারি নবচেতনার দ্বার।

এখানে একা আমি, শুধু আমি,
প্রতিদ্বন্দী হই ঈশ্বরের।
এখানে একা আমি, শুধু আমি,
আরণ্যক এক।


২৮.১২.১৯৯৬

- - -
এটাও অনেক আগের লেখা। সেই এইচএসসি পড়ার সময়কার। তখন খুব অরণ্যবাসী হওয়ার ইচ্ছে হত মনে মনে... পুরোনো লেখাগুলো পড়লে কলেজ জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়...

ফেইসবুকে যোগ করুন