rss

জালছেঁড়া নদী

জালছেঁড়া নদী
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। প্রকাশক: ভাষাচিত্র, ৩য় তলা, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা।

প্রান্তজন

প্রান্তজন
শহীদুল ইসলাম মুকুল

শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০০৯

ভালোবাসা কৃষিকাজের মত সোজা নয়

আমি জানতাম না, ভালোবাসা কৃষিকাজের মত সোজা নয়;
ভালোবাসা এক আগ্রাসী যুদ্ধ -
তাতে যুদ্ধনীতি আছে, কূটনীতি আছে।
অভিজ্ঞ সমরবিদের মত পরিকল্পনা সাজাতে হয়
গবেষণা করে বের করতে হয় প্রতিপক্ষের দূর্বলতা,
সামান্য অন্যমনস্কতায় একটু এদিক ওদিক হলেই
দূর্ভেদ্য দূর্গ উড়ে যেতে পারে কামানের গোলায়।
ভালোবাসা টেকাতে হলে আবিস্কার করতে হয় নিত্য নতুন মারণাস্ত্র,
প্রতিপক্ষের চেয়ে কম বিধ্বংসী হলে ময়দানে নামার
আগেই পরাজিত হতে হয় স্নায়ু যুদ্ধে।

অথচ আমি কি না ভেবেছিলাম-
শ্রম ঘাম দিয়ে বীজ বুনলে,
সময় সময় আগাছা নিড়িয়ে দিলে,
মাটির রঙ বুঝে হাট থেকে সার কিনে দিলে অথবা
আরো ভালো হয় জৈব সার দিলে শস্যক্ষেতে
এবং কয়েকবার করে সেচ দিলেই ফসল ফলবে সোনারঙা!

আমি শালার আজন্ম চাষা,
আজও সৈনিক হলাম না!



১৬ জুলাই, ২০০৮

ফেইসবুকে যোগ করুন

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০০৯

আমাদের নারীরা সুখে থাকুক

আমাদের নারীরা ভালো থাকুক।
তাহাদের পঞ্চদশ তলার ফ্ল্যাটে গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপঝাড় বেড়ে উঠুক।
তাহাদের বিছানায় মাখনের মত আদরের বৃষ্টি ঝরুক
তাহাদের রমণীয় মুখের দিকে টিভি ক্যামেরা হা করে থাকুক প্রতিদিন।
তাহাদের রন্ধন প্রণালী সুগন্ধ ছড়াক চ্যানেলে চ্যানেলে।
স্টারপ্লাসের মেগা সিরিয়ালের মত তীব্র আলোকিত হোক অন্দরমহল,
পরিপাটি মেকআপ নিয়েই প্রতিদিন তাহাদের ঘুম ভাঙুক,
ইভিনিং ইন প্যারিস সৌরভ ছড়াক তাহাদের দেহে মনে।

তাহাদের ঈদের বাজার হোক কলকাতা
অথবা সিঙ্গাপুর, নিদেনপক্ষে নব্য ফিউশন পার্ক।

তাহাদের অন্তর্বাস হোক স্পোর্টিং,
স্যানিটারী টাওয়েল হোক মেড ইন ইন্ডিয়া, নিশ্ছিদ্র সুরক্ষিত;
তাহাদের নখে, আঙুলে, কপালে, ঠোঁটে, স্তনে, জঙ্ঘায় সুখের স্ফীতি ঘটুক
তাহাদের কোমল ত্বক অলিভ অয়েল সুরক্ষায় থাকুক।

তাহাদের এটিএম বুথে ব্যালান্স কখনোই না কমুক,
তাহাদের ফিক্সড ডিপোজিটের সংখ্যা বাড়তেই থাকুক।

আমাদের নারীরা সুখে থাকুক
তাহাদের মনে নিশিদিন সুখের বৃষ্টি ঝরে ঝরে পড়ুক।


- - -
মাইজদী ,নোয়াখালী
২৩ জানুয়ারি ২০০৯

ফেইসবুকে যোগ করুন

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০০৯

রহিমার রহস্যময় বিয়ে (আমার লেখা জীবনের প্রথম গল্প!)


ঘটনার সময়কাল ১৯৪০। গ্রাম তো দুরের কথা, তখন অনেক মহকুমা শহরেও বিদ্যুতের নাম গন্ধ ছিলো না। রহিমার বাস কদমতলি গ্রামে। কদমতলি গ্রামের নাম শুনেছেন তো? ওই যে আমাদের পাশের গ্রামের শেষ প্রান্তে বড় যে আমবাগান ছিলো, তার পশ্চিম পাশের গ্রামটা। - এ কথা বলে মিজান সাহেব একটু দীর্ঘ থামলেন।

মিজান সাহেব আমাদের পাশের বাড়ীতে থাকেন। বয়স প্রায় ৮০ ছুই ছুই। সন্ধ্যার পর আমাদের আড্ডা হয় তার দোতলা বাড়ীর ছাদে। মিজান সাহেবের ছাদ আবার একটু অন্ধকার। গাছের আড়ালের কারণে ল্যাম্পপোস্টের আলো পুরোপুরি পৌছায় না। একেবারেই ভুতুড়ে পরিবেশ। আজ হঠাত করে আড্ডায় মধ্যে ভূতুড়ে অভিজ্ঞতার বয়ান শুরু হলো। এই বিষয়ে মিজান সাহেবের দেখলাম ব্যাপক আগ্রহ। তার নাকি জীবনে অনেক অদ্ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা আছে। তার একটি আজ বলবেন। সবাই আগ্রহ নিয়ে কান খাড়া করে আছি। পরিবেশটাই ভুতের গল্প শোনার জন্য মানানসই।

মিজান সাহেব আবার বলতে শুরু করলেন। আমার দিকে ফিরে বললেন, বুঝলেন নাফিদ সাহেব, ঘটনাটা আজও একটা রহস্য হয়ে আছে। যা বলছিলাম, রহিমার বয়স তখন ১৪। গ্রামে আমাদের প্রতিবেশী। তখনকার দিনে এই বয়সের আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেতো। রহিমার বিয়ে একটু দেরিতেই হয়েছিলো। মা বাবার আদরের ছিলো বলে দেরিতে বিয়ে দিয়েছিলো।

রহিমার বিয়ে কার সাথে হচ্ছিলো, আমরা পরিস্কার জানতাম না। রহিমার বাবা ফকির দরবেশ টাইপ মানুষ ছিলেন। খেয়ালি প্রকৃতির। হঠাত করে তার এক মুরিদের পাল্লায় পড়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন। বরের সম্পর্কে আগাম কিছুই আমাদের জানা ছিলোনা। রহিমার বাবাকে ভয় মিশ্রিত ভক্তি শ্রদ্ধা করতাম বলে কিছু জিজ্ঞেসও করা হয়নি কারো। ফকির দরবেশ মানুষ। কার উপর গোস্বা হয় কে জানে!

বিয়ের সময় মাগরিবের পরে ঠিক হয়েছিলো। পাত্র পক্ষ মাগরিবের পরে অন্ধকার নামতেই হাজির হলো। বরের সাথে মাত্র দুইজন মানুষ। একজন রহিমার বাবার মুরিদ সেই মানুষটি, পাত্রের মামা। আরেকজন পাত্রের বাবা। এত কম বরযাত্রী আসাতে আমরা সবাই অবাক হলেও কিছু বললাম না। খেয়ে দেয়া হুজুর কলেমা পড়ালেন। পাত্রের চেহারা দেখলাম তখন। চেহারাটা কেন জানি সুবিধার লাগলো না। চোখগুলো ঘোলাটো ঘোলাটে। প্রথম দর্শনেই আমাদের কারো পছন্দ হলো না। কিন্তু কিছুই করার নাই। আমরা খেয়েদেয়ে বাড়ীতে চলে এলাম। পরের দিন ভোরে হইচই শুনে ঘুম ভাঙলো। রহিমাদের বাড়ীতে প্রচন্ড গোলমালের আওয়াজ পেলাম। এক দৌড়ে গিয়ে হাজির হলাম।

দেখলাম রহিমা অজ্ঞান পড়ে আছে। সবাই তার মুখে পানির ছিটকা দিচ্ছে। জ্ঞান ফেরার পর সবার কথায় ঘটনা পরিস্কার হলো আমাদের কাছে।

জানলাম, বরপক্ষের দুইজন বরকে রেখে রাতেই চলে যায়। রহিমার বাসর ঘরে যখন বর প্রবেশ করে, তখন রাত হয়েছে অনেক। গ্রামের বাড়ী। চারদিক ততক্ষণে নিশ্চুপ। শুধু ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। হারিকেনের মৃদু আলো জ্বলছে। বরের মুখ একবার মাত্র দেখেছিলো রহিমা। ঘোলাটে চোখ দেখেই ভয়ের একটা শিরশিরে অনুভূতি তাকে ঘিরে ধরে। আরো ভালো করে দেখার আগেই বর হারিকেনের আলো এক ঝটকায় নিভিয়ে দিলো। তারপর নি:শব্দে রহিমার পাশে এসে বসলো। রহিমার কেন যেন অস্বস্তি লেগে উঠলো। তবুও কিছু করার নেই। এই ছেলেই এখন তার সবকিছূর মালিক। সহ্য তো করতেই হবে। কিন্তু ছেলেটি যখন তাকে জড়িয়ে ধরলো, হাতগুলো কেমন যেন লোমশ লোমশ লাগলো। গা সিড়সিড় করে উঠলো রহিমার। অস্বস্তিকর অনুভূতি নিয়েই স্বামীসঙ্গ হলো। তার পুরো শরীর কেমন যেন অসাড় হয়ে উঠলো। তান্ডব শেষে ক্লান্ত রহিমা মরার মত ঘুমালো। ভোরে যখন ঘুম ভাঙলো, পাশ ফিরতেই দেখলো তার বিছানা খালি।

বাইরে তখন গন্ডগোলের শব্দ। রহিমার বাবা দরজায় ধাক্কা দিচ্ছেন। দরজা খোলার পরপরই তিনি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেদে উঠলেন। তারপরের ঘটনা শুনেই রহিমাও অজ্ঞান।

ঘটনা হলো, যার সাথে রহিমার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো, তারা নৌকায় করে আগের দিন দুপুরে রওনা দিয়েছিলো। কিন্তু আসার পথে বিকেলে নৌকাডুবিতে পাত্র তার দুই সাথী সহ মারা যায়। সকাল বেলা তাদের লাশ ভেসে উঠে নদীতে। গ্রামের মনু মাঝি লাশগুলো পাড়ে নিয়ে আসে।

- এই হলো ঘটনা। বুঝলেন নাফিদ সাহেব। এইটা এখনো এক রহস্য আমার কাছে। পাত্র যদি আগেই মারা যায়, রহিমার বাসর হলো তাহলে কার সাথে! আরো অবাক করা ঘটনা হলো, রহিমা পরবর্তীতে গর্ভবতী হয়। একটি সন্তানও হয়। ছেলে সন্তান। চেহারা অবিকল বাবার মতই। চোখগুলো ঘোলাটে ঘোলাটে।

ফেইসবুকে যোগ করুন

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০০৯

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র Peace



আমার ভাগ্নে ইভান। এআইইউবিতে পড়ছে। পোলাপান বড় হলে যা হয়, কখন কি করে সব খবর রাখা হয় না। মাঝে মাঝে শুনি, ওরা বন্ধুরা মিলে পরীক্ষামূলক ফিল্ম বানায়। কিন্তু দেখা হয়ে ওঠেনি।

আজ মেসেঞ্জারে নক করে বললো, ওর একটা স্বল্প দৈর্ঘ্য ফিল্ম ইউটিউবে আপলোড করেছে। এটা নাকি গত বছর ঢাকা আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উতসবেপ্রদর্শিত হয়েছিলো। লিঙ্ক পেয়ে অনেক সময় নিয়ে ডাউনলোড করে দেখলাম। আপনাদের জন্য লিঙ্কটা দিচ্ছি।

ফিল্মটার নাম Peace । ইভান আর তার বন্ধু রাব্বী, দুজনে মিলে বানিয়েছে। চিত্রনাট্য, অভিনয়, ক্যামেরা, এডিটিং- সব কিছুই ওদের করা।

ফেইসবুকে যোগ করুন

মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০০৯

বিজয়ে তৈরি করা মাইক্রোসফট অফিস ফাইল ইউনিকোডে রুপান্তর করুণ “নিকস কনভার্টার” দিয়ে

nics
অফিসে কলিগদের ইউনিকোড বাংলা সিস্টেমে আনতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। সবাই প্রাগৈতিহাসিক কালের বাতিল বিজয়ে লিখতে অভ্যস্ত। যদিও ইউনিজয় আসার কারণে লেআউট কোন সমস্যা না; কিন্তু সমস্যা হয় পুরোনো ডকুমেন্টস নিয়ে। বছরের পর বছর তৈরি করা হাজার হাজার ফাইল বিজয়ে লেখা। ইউনিকোড ব্যবহার করলে ফাইলগুলো প্রয়োজনে এডিটিং করা সম্ভব না। তাই পুরোপুরি ইউনিকোডে কাজ করার জন্য বিজয়ে তৈরি করা পুরোনো ফাইল সহজেই কনভার্ট করার প্রোগ্রাম খুবই জরুরী।

আনন্দের কথা হলো বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সেই কাজটি করেছে। ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নিকস কনভার্টার নামের বিজয় থেকে ইউনিকোড রুপান্তরক প্রোগ্রামটি ডাউনলোড করা যাবে। ব্যবহার খুবই সহজ। যে কোন অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ফাইলকে ফরম্যাটিং ঠিক রেখে বাংলা ইউনিকোডে রুপান্তরিত করে প্রোগ্রামটি। একক ফাইলকে কনভার্ট করা যায়। আবার ব্যাচ ফাইলকেও একসাথে কনভার্ট করা যায়।

nics1

খুবই কাজের এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিঙ্ক থেকে। ইনস্টলারটির সাইজ ১৪ মেগাবাইট।

উল্লেখ্য, নিকস কনভার্টারটি চালাতে .NET framework ইনস্টল করা থাকতে হবে। যাদের .NET framework ইনস্টল করা নেই, তারা .NET framework সহ নিকস কনভার্টার ইনস্টলারটি (৩৯ মেগাবাইট সাইজ) ডাউনলোড করতে পারেন। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করলে ব্যবহার নির্দেশিকা পাবেন। সাথে চমৎকার কয়েকটি ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ও পাবেন। শুধু ফন্ট ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিঙ্ক থেকে।

ফেইসবুকে যোগ করুন