চিন্তাটা ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক
আমি যে মানবাধিকারের কথা বলি, সে আমার মহত্ত্ব নয়।
চিন্তাটা খুবই সংকীর্ণ; তুমিই তার সোজাসাপটা লক্ষ্য প্রিয়তমা।
নির্মম পৃথিবীতে তোমার বঞ্চনা আমি সইতে পারবো না।
তাই আমি চাই মানবাধিকার সংবেদনশীল সমাজ।
আমি যে শিশু অধিকারের কথা আওড়াই, তার সাথেও তোমার স্বার্থ জড়িত;
তোমার, মানে আমাদের শিশুকে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে চাই বলে।
আমি যে সমানাধিকারের কথা বলি, তা কোন লৈঙ্গিক সমতার
চেতনা থেকে নয়-স্রেফ তোমার স্বার্থে।
আমি কি তোমার চেয়ে বেশি পেতে পারি কিছু?
কিভাবে ভালোবাসার সাথে বৈষম্য বসবাস করবে বলো?
আমি তাই সমানাধিকারের কথা বলি, ন্যায্যতার কথা বলি।
আমি যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি,
সে তোমার জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র চাই বলে। আমার প্রিয়তমাকে
নৈরাজ্যের মাঝে রেখে আমি কি নিশ্চিন্তে ঘুমুতে পারি?
এবার বুঝতে পারছো কেন আমি মহৎ বুলি আওড়াই?
বন্ধুরা যেমনটি ভাবে, আদতে তেমন উদার নই আমি; বলতে পারো চরম ব্যক্তিস্বার্থবাদী।
আমি শুদ্ধ হয়ে ওঠার আপ্রাণ সাধনা করি তোমার কষ্ট চাই না বলে।
সুধীজনের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, তুমি চলে যাওয়ার পরও কেন আমি এসব বলে যাই!
কেন ভালোবাসার দায়মুক্ত হয়েও আমার ভেতরে জন্ম নেয় না ক্রুদ্ধ ফ্যাসিস্ট?
তবে কি এখনো, একটি মুহুর্তও তোমায় ভালো না বেসে থাকি না?
মাইজদী, নোয়াখালী
২৯ আগস্ট, ২০০৮
3 টি মন্তব্য:
লে আউট সুন্দর হইছে।
ভাল্লাগতেছে...
লেআউট নিয়ে কথা বলার কিছু নাই.. সত্যি পছন্দ হৈছে
তবে সুযোগ পাইয়া একটু জ্ঞান ঝাড়ি ;)
পার্লে
১. জালছেঁড়া নদী.. উর্পে
২ . আর্কাইভ ...
৩. আমার আমি... এইভাবে সাজাতে পারো...
যেহেতু নিজের লেখালেখির জন্য এই খাতাটা.. সেহেতু লেখালেখির বিষয়গুলো আগে আসুক... আমি নাহয় একটু পেছনেই থাকি ;)... আর যদি আলুগো মত সুশীল হৈতে চাও তাইলে নিজের পয়লা ;)
ভাল থাকো...
টুটুল ভাইয়ের পরামর্শ গুলো সত্যিই ভালো এবং এগুলো অনুসরন করলে ভালো হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন