
আজ এই শীত সন্ধ্যার স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে
আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা।
আজ সারাটা সকাল ভাবছিলাম
কোন লেখাটি পাঠ করবো?
অনেকবার চর্বিত চর্বন করা পুরোনো লেখাগুলো!
না কি নতুন কোন কবিতা লিখবো!
নতুন কবিতার বিষয় কি হবে!
অনেক অনেক দিন আগের চলে যাওয়া প্রেমিকাকে,
ফসিল মন এখনো যার শোকচিহ্ন বহন করে চলছে,
“শুধু মৃত্যুই আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে” এ পবিত্র চুক্তি পায়ে দলে
অবলিলায় যে চলে গিয়েছিলো
এখনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে যার কথা মনে করে আমি হু হু করে কাঁদি,
যার কথা আলাদা করে আমার মনেই পড়ে না কখনো
সময় করে মনে পড়ার প্রয়োজনও হয় না – কারণ এক মূহুর্তের জন্যেও যাকে ভুলে থাকিনা,
আমার সেই শ্যামল প্রেমিকাকে নিয়ে নব নব পংক্তির মালা গাঁথবো?
কি নিয়ে লিখবো?
কি নিয়ে লিখবো?
একটি শ্রেষ্ঠ কবিতার বিষয় কি হতে পারে?
কোনটি হতে পারে এই সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা?
উত্তুরে বাতাস কানে কানে বলে গেলো,
আজ ১৪ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায়
পাকিস্তানি আর তাদের ঔরসজাত রাজাকারদের গণহত্যার শিকার
বাঙলা এবং বাঙালীর কাছে একটি পংক্তিই হতে পারে শ্রেষ্ঠ পংক্তি-
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই”
চির আশাবাদী মন জানে
আজ বাঙলার প্রতিটি সবুজ ঘাসে অনুরিত পংক্তি-
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই”
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে হতে একদিন
কলমের শেষ রক্তিম আচঁড় সমাপ্ত করবে
রচনা করবে একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা – “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার”
ডিসেম্বর ১৪, ২০০৭
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন