rss

জালছেঁড়া নদী

জালছেঁড়া নদী
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। প্রকাশক: ভাষাচিত্র, ৩য় তলা, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা।

প্রান্তজন

প্রান্তজন
শহীদুল ইসলাম মুকুল

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০০৮

অতিথি

আবার বিষণ্ণ বিকেল নামে
অতিথিরা যায় দক্ষিণের পথে
হিম নামলে সুদুরের পরিব্রাজক
কি এক টানে পেরোয় মহাদেশ।

পুরোনো পথের নতুন উত্তরাধিকার
মুছে ফ্যালে পারাবারের ক্লান্তি
ক্ষণিক জলকেলি শেষে অন্তরঙ্গ দল
নদীর কাছে খোঁজে তৃষ্ণার জল।

হিম ফুরোলে পর অতিথিরা
চলে যায় ফিরতি পথে
আসা যাওয়ার চক্রের মাঝে
রেখে যায় কিছু পালক।

আর কিছু নয়…

- - -
১৮ নভেম্বর ২০০৮

ফেইসবুকে যোগ করুন

মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০০৮

ইভ


প্রথাগত এক প্রেমিকের কাছে একাকী
সারাদিন এবং সারারাত্রি
তপ্ত মরুময়-
প্রেমাস্পদের বিহনে
কাটে অথবা কাটেনা
পাথর সময়;
সুরভী মাখে গায়ে বুঝিবা ব্যর্থতার,
উর্ণনাভ জাল বুনে কষ্টের স্বরলিপি তার।

প্রেয়সীর আঙুল যেন এক একটি
প্রবাহিত ঝর্ণাধারার স্পর্শ,
স্বর্গীয় নহর, কুসুম গরম।
আহ! স্পর্শে স্পর্শে আনন্দ বারেবার!
এক সুতীব্র আবেগ গ্রাস করে যখন
নিজস্বতা হারিয়ে বিলীন আলিঙ্গনাবদ্ধ আমিত্ব!
এক একটি চুম্বন, এক একটি সম্মতির সিঁড়ি
অতিক্রম করে যখন আহবান করে--
তীব্র আনন্দ খুবলে খায় হৃদয়ের লাল,
প্রবাহিত উষ্ণ রক্তস্রোত, জ্বলন্ত লাভা।

প্রেয়সীর আঁখি পল্লব যখন পিটপিট করে
হাসে আনন্দে এবং পরিতৃপ্তিতে,
প্রেমিক মনের আনন্দ অপ্রকাশিতই থেকে যায়
সমস্ত অনুভূতি প্রকাশের পরেও একান্ত ভাষায়।
কানে ভেসে আসে স্বর্গীয় ঐকতান... চাই আনন্দ চিরকাল...

হায়! নিষ্ঠুরতা আমাদের প্রেমের সঙ্গে কখন কিভাবে যেন
অঙ্গাঅঙ্গি জড়িয়ে যায়, যেমন জলে মিশে লবণ--স্বচ্ছ দ্রবণ;
নেমে আসে শাস্তি -- বিচ্ছেদের, হতাশায় নিমজ্জিত প্রাণ।

জানা হলো না,
আদিম সর্প দিয়েছিলো
কী কুটিল প্ররোচনা!

- - -
মাইজদী, নোয়াখালী
৪ নভেম্বর, ২০০৮


* ছবিসূত্র

ফেইসবুকে যোগ করুন